ইলিশ রক্ষা করতে গিয়ে হামলায় আহত পুলিশ
ভোলার লালমোহনে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় দুটি টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলেদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হন। হামলার ঘটনায় এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে লালমোহন মেঘনা নদীর বাতিরখাল ও তেঁতুলিয়া নদীর দেবিরচর এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার পৃথক অভিযানকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ্ত মিশ্র জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে মা ইলিশ রক্ষার জন্য মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুটি অভিযান টিম নামে। মেঘনার অভিযান দলের নেতৃত্বে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ্ত মিশ্র ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ছিলেন।
এছাড়া তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান দলের নেতৃত্বে ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমেদ ও সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স। মেঘনা নদীর বাতিরখাল ঘাটসংলগ্ন কোপখালী কাঠিরমাথা এলাকায় নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরাকালে জেলেদের বাধা দেয়া হয়।
এ সময় সংঘবদ্ধ জেলেদের একটি দল লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে আভিযানিক দলের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ইটপাটকেল মারতে থাকলে পুলিশের কনস্টেবল ফাহাদ হোসেন মারাত্মক আহত হন। তাকে জরুরিভিত্তিতে ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ সময় মাছধরার দুটি ট্রলার ও ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ্ত মিশ্র বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযানকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেবিরচর এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট সালেহ আহমেদের নেতৃত্বাধীন অভিযান দলের ওপর হামলা চালায় জেলেরা।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে অভিযান চালিয়ে হামলাকারীদের ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ জনের ১ বছর করে কারাদণ্ড ও ৩ জনের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সূত্রঃ যুগান্তর
Related News
তুমব্রু সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গোলাগুলি
১০ দিন বন্ধ থাকার আবারও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অংশেRead More
‘মা ফিরেছে লাশ হয়ে, বাবা তো ফিরলো না’
কৃষক হরি কিশোরের দুই ছেলে। বড় ছেলে উজ্জ্বল স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে অজয়Read More