ইরফান সেলিমসহ ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
অনলাইন ডেস্কঃ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মোঃ ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড জাহিদ এবং হাজী সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপুর সাত দিন করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় ইরফান ও জাহিদ কারাগারে রয়েছেন। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে।
এই মামলায় হাজী সেলিমের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপুরও পৃথকভাবে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল সোমবার এই মামলায় গ্রেফতার হন ইরফান সেলিম, তার বডিগর্ডি জাহিদ ও গাড়িচালক মিজানুর রহমান। আর রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় দিপুকে।
এই মামলার আরেক আসামি ইরফানের গাড়িচালক মিজানুর গ্রেফতারের পর রিমান্ডে রয়েছেন।
গত রোববার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান। ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওই গাড়িতে ছিলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান এবং তার লোকজন।
ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিয়ে গাড়িটিকে থামতে ইশারা করেন ও কথা বলতে চান। তখন তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন ইরফান ও তার লোকজন।
সোমবার সকালে ইরফান ও তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এরপর শুরু হয় পুলিশ ও র্যাবের তৎপরতা।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা হাজী সেলিমের চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ৯ তলা সুরম্য অট্টালিকা ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’-তে অভিযান চালায় র্যাব।
সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (একটি পিস্তল ও আরেকটি একনলা বন্দুক), উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৩৮টি ওয়াকিটকি, ৫টি ভিপিএস সেট, একটি দুরবিন, শক্তিশালী ইলেকট্রিক ডিভাইস, ৪০০ পিস ইয়াবা, সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার, একটি হ্যান্ডকাফ (হাতকড়া), একটি ড্রোন, একটি ব্রিফকেসসহ অন্যান্য অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
রাত সোয়া ৮টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে অভিযান শুরু হয় আশিক মদিনা টাওয়ারের ইরফান সেলিমের ‘টর্চার সেলে’।
সেখান থেকে ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আরেকটি দুরবিন, একটি হাঁড়ের খণ্ড, ছোরা, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়। রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে শেষ হয় অভিযান।
দিনব্যাপী অভিযানকালে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
এ ছাড়া বাসা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আজ পৃথক মামলা করবে র্যাব।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More