সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করতে নানামুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের নিরলস প্রচেষ্ঠায় গত ১০ বছরে সাক্ষরতার ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সাক্ষরতা ও শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে দেশকে আমরা নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে দেয়া সোমবার এক বানীতে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ লিটারেসি টিচিং এন্ড লার্নিং ইন দ্য কোভিড-১৯ ক্রাইসিস এন্ড বিয়ন্ড উয়িথ এ ফোকাস অন দ্য রোল অব এডুকেটরস এন্ড চেঞ্জিং পেডাগোগিজ ’ তথা কোভিড সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন- শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার কর্তৃক প্রণীত সংবিধানের ১৭(গ) অনুচ্ছেদে আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য রাষ্ট্রের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সে অঙ্গীকার পূরণে দেশের ৪৫ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের লক্ষে ৬৪টি জেলায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্হিভূত ও ঝরে পড়া ৮-১৪ বছর বয়েসী ১০ লাখ শিশুকে অন্তভূক্তকরে তাদেরকে শিক্ষা ব্যবস্থার মূলধারায় নিয়ে আসার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কোভিড -১৯’র মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখতে সরকার অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। বিভিন্ন স্তরের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্লাশসমুহ অনলাইনে নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হযেছে। সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে নিয়মিত পাঠদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সমর্থ হবেন বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূত্র : বাসস
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More