Main Menu

উপকূলে মঙ্গলবার আঘাত হানতে পারে ‘আম্পান’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যেই আরেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে, গতি ও দিক পরিবর্তন না করলে ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আম্পান’, থাইল্যান্ড এই নামটি দিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এটি আরও শক্তিশালী ও প্রবল হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গতি ও দিক পরিবর্তন না করলে ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে।

আম্পানের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বলেন, উপকূলীয় জেলার সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন মানুষজনকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যায়, সে লক্ষ্যে এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপকূলীয় জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সৌজন্যে প্রথম আলো






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *