এমসি কলেজ গণধর্ষণ মামলার আসামীপক্ষ সময় চাইলো

সিলেট এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি (নারাজি) জানাতে আদালতের কাছে সময় চেয়েছে আসামীপক্ষ। আজ রোববার (৩ জানুয়ারী) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর এই মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিলো। এদিন আসামিদের পক্ষে আদালতের কাছে সময় প্রার্থণা করা হয়।
আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি থাকলে তা জানাতে এক সপ্তাহের সময় প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক। আগামী ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারত করেন আদালত।
এদিকে, রোববার আদালতে জামিন প্রার্থণা করেন এই মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি। তবে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এই আদালতের পিপি রাশিদা সাইদা খানম জানান, মামলার বাদি পক্ষ এ সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করবে। তাদের নারাজি না থাকলে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
আজ নির্ধারিত তারিখে এই মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত ৮ আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়েছিলো বলে জানান তিনি।
গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযোগ করে আলোড়ন তোলা এই মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগপত্রে সাইফুর, রনি, তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুল ও রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ও মাহফুজুরকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ৮ জনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
মালার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বামীকে নিয়ে শাহপরান মাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার তরুণী (২৫)। ফেরার সময় তারা গাড়ি থামিয়েছিলেন নগরের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। স্ত্রীকে প্রাইভেটকারে রেখে স্বামী পাশ্ববর্তী দোকানে গিয়েছিলেন। ওইসময় প্রাইভেটকারটি ঘিরে ধরে কয়েকজন তরুণ। প্রাইভেটকারসহ ওই দম্পতিকে তারা নিয়ে যায় বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে। সেখানে স্বামীর সামনেই গাড়ির ভেতর সংঘবদ্ধভাবে তরুণীকে ধর্ষণ করে ৬ তরুণ। পরে তাদের মারধর করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। আটকে রাখে তাদের গাড়িও।
ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরের শাহপরান থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও ৩ দিনের মধ্যে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ। সন্দেহভাজন দুই গ্রেফতারকৃত হলেন- আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। গ্রেফতারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সকলেই দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
Related News

সিলেট-১ আসনে আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থিতা ঘোষণা
সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুলRead More

সিলেটে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ন্যায় ইনসাফ ও মানবিক দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলাম কাজ করছে, মাওলানা হাবিবুর রহমান
সিলেট-১ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য সিলেট জেলা আমিরRead More