Main Menu

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৮ আসামির স্বীকারোক্তি

এমসি কলেজে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি আদালতে স্বীকার করলো ঘৃণ্যতম এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা। আজ রোববার (৪ অক্টোবর) মামলার এজাহারনামীয় আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান আদালতে এ মর্মে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে তারেকুল ইসলাম তারেককে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে এবং মাহফুজুর রহমানকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালত সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
৩ ঘণ্টাব্যাপী আসামিদ্বয়ের স্বীকারোক্তি শেষে ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য জানান, দুই আসামির জবানবন্দি পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে তারা ধর্ষণকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন। এখন তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার এই দুইদিনে ৬ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম এবং আজ শনিবার রনি, রাজন ও আইনুল আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালত সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্কর। আর রবিউল জবানবন্দি দেয় মুখ্য মহানগর হাকিম (দ্বিতীয়) সাইফুর রহমানের আদালতে।
পরদিন শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় মামলার ৩ নং আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে। এই ৩ জনের মধ্যে রাজন শনিবার বিকেল পর্যন্ত সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিকালে গণধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন রাজন।
অন্য দিকে, শনিবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলার কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন অপর দুই আসামি রনি ও আইনুল। তারাও ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যারাতে স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার ভোরে ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা (২১(৯)২০২০) দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হচ্ছে- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।
এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরাণ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা (নং -২২(৯)২০২০) দায়ের করেন তিনি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *