Main Menu

ঈদের দিন সিলেটে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

মাঝ শ্রাবণে এসে ভারি বৃষ্টির প্রবণতা আগামী কয়েকদিন কমে আসার সম্ভাবনা থাকলেও এবার কোরবানির ঈদের দিন সিলেট এবং রংপুর বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন গণমাধ‌্যমকে বলেন, এবার মৌসুমি বায়ু বেশ সক্রিয় রয়েছে শ্রাবণের শুরু থেকেই। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি শেষে ৩০ জুলাই থেকে ভারি বর্ষণ কমে আসবে। ৩১ জুলাই ও ১ অগাস্ট তুলনামূলক কম বৃষ্টি হবে।

“আগামী শুক্র আর ঈদের দিন শনিবার ভারি বর্ষণ হবে না; তবে হালকা বৃষ্টি থাকতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরে সিলেট এবং রংপুর বিভাগে।”

শনিবার ঈদের সকালে মুসলমানরা নামাজে যাবেন। করোনাভাইরাসের মহামারীর এই সময়ে ঈদের নামাজ হবে কেবল মসজিদে। ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় কোনো জামাত হবে না। নামাজ পড়তে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, করা যাবে না কোলাকুলি।

তবে ঈদের নামাজের পর শুরু হবে কোরবানির পশু জবাই। সে সময় বৃষ্টি হলে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হবে। তবে পরে বৃষ্টি হলে তাতে পশুর রক্ত আর ময়লা ধুয়ে যাবে।

আরিফ হোসেন বলেন, “এখন মাঝ শ্রাবণ; বর্ষারও পিক টাইম। দিনভর বৃষ্টি থাকবে না এমন নয়; মৌসুমি বায়ু কিছু সক্রিয় থাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও।”

করোনাভাইরাস মহামারীর পাশাপাশি দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিরাজ করছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে ৩১ জেলার প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বৃষ্টি বেশি হলে দুর্গতদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে বৃষ্টি কমায় নদ-নদীর পানি প্রবাহ স্থিতিশীল হয়ে আসবে। অগাস্টের প্রথমার্ধে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস থাকছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুইয়া বলেন, “বাংলাদেশ ও উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে পানি কমতে পারে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের বন্যাকবলিত অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার সম্ভবনা রয়েছে।”






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *