Main Menu

৩০ মে পর্যন্ত আবারোও ছুটি বাড়ল, কর্মস্থল ছাড়া যাবে না

অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) থাকায় সেটিও সাধারণ ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে। এই সময়ে ঈদের ছুটি ও অন্যান্য ছুটিও মোট ছুটির মধ্যে পড়বে।

ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটিকালীন কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ ছাড়া ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

তবে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। একই সঙ্গে তাদের অধিক্ষেত্রের কাজ পরিচালনার জন্য সুর্নিদিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। আর কর্মকতা -কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দেওয়া ১৩ দফা নিদেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

ছুটিতে রমজান, ঈদ, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। অবশ্য ব্যাংকে এখন খোলা। স্বাভাবিক লেনদেন হয় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।

জরুরি সেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর ( স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবাকাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা ছুটির বাইরে থাকবেন। সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম ( প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভুত থাকবেন।

এবারও আগের মতো বলা হয়েছে, ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। অবশ্য গত ২৬ এপ্রিল থেকেই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে।

আর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি ও উৎপাদন এবং সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

সাধারণ ছুটির সময় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। অবশ্য আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি।

এবারের ছুটি নিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে মোট সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তারপর বাড়ানো হয় ১৬ মে পর্যন্ত। সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছুটির ঘোষণা দেওয়া হলো।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *