Main Menu

৪ রানে ৩ উইকেট, স্বস্তিতে বাংলাদেশ

প্রথম সেশনে প্রাপ্তি ব্রেন্ডন টেইলরের উইকেট। উইকেট যখন সোনার হরিণের মতো, তখন দ্বিতীয় সেশনে হুট করে তিন উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ, তাও মাত্র চার রানের ব্যবধানে। আর তাতেই হারারে টেস্টে কিছুটা ব্যাকফুটে জিম্বাবুয়ে। স্বস্তিতে বাংলাদেশ।

আগের দিনে ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামে জিম্বাবুয়ে। অভিজ্ঞ টেইলরের সাথে দারুণ মেজাজে ব্যাট করেন অভিষেকে নামা কাইতানো। সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন টেইলর। শেষ পর্যন্ত তাকে ফেরান স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। বলে-ব্যাটে ঠিক মতো হয়নি। লেগে ক্যাচ দেন বদলি ফিল্ডার ইয়াসিরের হাতে। ৯২ বলে ওয়ানডে মেজাজে ৮১ রান করে টেইলর ফেরেন সাজঘরে। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কার মার।

এরপর আরেক অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ডিওন মায়ার্সের সাথে রসায়ন জমে যেতে শুরু করেছিল কাইতানোর। দ্বিতীয় সেশনে এসে এই জুটিতে বাধ সাধেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তার জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাথে যোগ দেন তাসকিন। মাত্র চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে।

দলীয় ২২৫ রানের মাথায় ডিওন মায়ার্সকে ফেরান সাকিব। সুইপ করতে গিয়ে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৫ বলে এক চার ও ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। ওভার তখন চলে ৭৯.৬। এরপর পেরিয়া যায় ৬ ওভার। রান আসে মাত্র তিনটি। ৮৭ ওভারের দ্বিতীয় বলে মারুমাকে এলবির শিকার বানান সাকিব। বেচারা ১৭ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

পরের ওভারে রয় কাইয়াকে উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচ বানান তাসকিন আহমেদ। ৫ বলে কাইয়াও রানের খাতা খুলতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের রান তখন ২২৯/৫।

শুক্রবার চা বিরতি পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪৪ রান। অভিষেকে সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন কাইতানো। ২৮২ বলে ৮২ রানে আছেন তিনি অপরাজিত। তার সাথে ১০ রানে অপরাজিত চাকাভা।

বল হাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল সাকিব আল হাসানই। তিনি তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। বাকি দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মিরাজ ও তাসকিন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *