শিক্ষার্থীদের সব ধরনের বই পড়তে দিতে অভিভাবকদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবই নয়, জ্ঞানার্জনে সব ধরনের বই পড়ার সুযোগ দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।
তিনি শনিবার দুপুরে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘শততথ্যে জাতির পিতা’ শীর্ষক প্রকাশনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে শুধু পাঠ্যবই পড়া চাপিয়ে না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও ইতিহাসহ অন্য সব ধরনের বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
এছাড়াও সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বই পড়া মানে শুধু ক্লাসের বই পড়া নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পাঠ্যসূচির নিদিষ্ট বই ছাড়াও যত রকমের বই পড়া যায় পড়তে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্য বই (পাঠ্যবই ছাড়া) পড়তে গেলে অনেক সময় অনেক বাবা-মা বলেন, পড়া (ক্লাসের পড়া) নষ্ট হচ্ছে। আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, এটি করবেন না। আপনার সন্তান ক্লাসের বই ছাড়াও যত বই পড়তে পারে পড়তে দিন।’
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে যত মানুষ সফল হয়েছে তাদের সবার ডিগ্রি আছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারা অনেক বই পড়েছেন। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক বই পড়েছেন। তাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে আমাদের অনেক বই পড়তে হবে, শুধু পাঠ্যবই নয়, নানা বিষয়ের বই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হওয়ার জন্য আমি একটি বিষয়ে জোর দিতে চাই সেটা হলো বই পড়তে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে একুশ বছর পর যখন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা পান, তখন থেকে একাত্তরে জন্ম হওয়া বাংলাদেশের মূল্যবোধ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া শুরু করি আমরা। তখন থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঠিক জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করি। বর্তমানে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। একইসাথে চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা, যোগ্যতা যেমন অর্জন করবে, তেমনি মানবিক মূল্যবোধ, সততা, আন্তরিকতা, পরমতসহিষ্ণুতা এসব মূল্যবোধ ধারণ করে বড় হবে। সেভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করছি।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন রাজনৈতিক শিক্ষার কথা বলেছিলেন, সেখানে অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মুক্তি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মুক্তির কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা সেই বাংলাদেশ করার জন্য অঙ্গিকারাবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি। তিনি আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিছেন। ২০৩০ সালেও আমাদের একটি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেটি হচ্ছে তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবোই।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মো: মনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন।
সূত্র : বাসস
Related News
নূরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
নূরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমRead More
শেয়ার নেট বাংলাদেশের এসআরএইচআরপ নলেজ ফেয়ার কনফারেন্স সম্পন্ন
শেয়ার-নেট বাংলাদেশ আয়োজিত ৯ম এসআরএইচআর নলেজ ফেয়ার” নামক এক বৃহত্তম কনফারেন্স সম্পন্ন হয়েছে। এসআরএইচআর নলেজRead More