সিলেট নগরীর ১২টি কেন্দ্রে দেয়া হবে করোনার টিকা
সিলেট বিভাগের ১০ লাখের বেশি মানুষ পাবেন করোনা ভ্যাকসিন। আগামী ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহেই সিলেটে করোনা ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। করোনা টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সিলেটে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ৩৭ কার্টন ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি কার্টনে ১ হাজার ২০০ করে ভ্যাকসিন থাকছে। এরপর ৪ কার্টন বাড়তি আসবে। সেই হিসাবে প্রথম পর্যায়ে ৪৯ হাজার ২০০ ডোজ টিকা পাচ্ছে সিলেট।
প্রথম চালানে সিলেট বিভাগে আসা ৩৭ কার্টুন ভ্যাকসিনের মধ্যে পাঁচ কার্টন মৌলভীবাজারে, ছয় কার্টন হবিগঞ্জে ও সাত কার্টন যাবে সুনামগঞ্জে। বাকিগুলো সিলেট জেলার জন্য থাকবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর এলাকায় ১২টি কেন্দ্রে এবং উপজেলা পর্যায়ে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে মহানগর ও জেলার জন্য দুটি কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট মহানগর এলাকায় ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিলেট কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। এ কমিটির সদস্য সচিব হলেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক।
জেলা পর্যায়ের কমিটির আহ্বায়ক হচ্ছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল। এ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। একইভাবে বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জেও কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেটে ভ্যাকসিন আসার পর ১৫ ক্যাটাগরির লোকজন পাবেন করোনা ভ্যাকসিন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পৌর-সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কবরখনন ও মৃত ব্যক্তির সৎকারকারীরা রয়েছেন এর আওতায়।
টিকাদানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চারটি ও সদর হাসপাতালে আটটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। টিকাদানে কেন্দ্র প্রতি থাকবেন দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক। টিকাদান পরবর্তী পর্যবেক্ষণের জন্য সাত সদস্যের মেডিকেল টিম থাকবে।
সিসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে টিকা দানে প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তার নেতৃত্বে চিকিৎসকের সাতজনের একটি টিম থাকবে।
Related News
স্থানীয় স্কাউট নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা: জুলাই- আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদেরকে কাজ করতে হবে, আমিনুল ইসলাম
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সদস্য (১) ডা. মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই- আগস্টে যারা জীবনRead More
কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ব্যবসায়ীর জমি দখল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সিলেটRead More