কানাইঘাটে কিশোরী ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার একটি জঙ্গলে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার ভাই মোঃ আব্দুল কাদির (২৮) বাদী হয়ে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৫৫, তারিখ ০৩/১১/২০২০ইং।
মামলার আসামীরা হলেন, কানাইঘাট উপজেলার বাখালছড়া ডাউকেরগুল গ্রামের রহিম উদ্দিন রমুর ছেলে আব্দুল জব্বার (৩০), একই গ্রামের মৃত সফিকুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫) ও মৃত খলিল মিয়ার ছেলে হবিবুর রহমান উরফে হইবুর (৪০)।
মামলার বাদী কিশোরীর বড় ভাই মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩১ অক্টোবর ২০২০ইংরেজী বেলা ২ টায় তার বোন বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গেলে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আসামীরা তাকে মুখ চেপে বাড়ির অদূরে পাশ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে তার বোনকে ধর্ষণের পর রাত ২ টায় কানাইঘাটের মাওলানা মশাইদ আলী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে নদীতে থাকা একটি ইঞ্জিন নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরী কেঁদে কেঁদে গভীর রাতে পাশর্^বর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে বাড়ির লোকজন কিশোরীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। কিশোরীকে সমজিয়ে দেওয়ার সময় তা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করা হয়।
পরে ধর্ষিতার ভাই বোনকে নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি কেয়ারে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক অবস্থায় ধর্ষণের আলামত পান এবং ডিএনএ টেষ্টের জন্য ধর্ষিতার কাপড় চোপর হাসপাতালে সংরক্ষণের জন্য রেখে দেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী ধর্ষকরা মামলার বাদীকে মামলা তুলে আনার জন্য প্রাণনাশের হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
এছাড়াও ১নং আসামী আব্দুল জব্বার এর ভাই তৌহিদুর রহমান বাদী হয়ে তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ভাবে নির্যাতনের কারণে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে বাদী আব্দুল কাদির ও তার পিতা সহ ৬ জনকে আসামী করে কানাইঘাট আমল গ্রহণকারী আদালতে গত ৪ নভেম্বর একটি দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ধর্ষণ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ার লক্ষ্যে বিবাদীগণ একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন প্রতিবেদনের নামে অনলাইন পোর্টালের প্রতিবেদক এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে লিখেছেন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃত পক্ষে যাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তারা আসামীদের আত্মীয়।
উল্লেখ, মামলার ১নং আসামীর ছোট ভাই ময়না মিয়া (২২) আরেকটি ধর্ষণ মামলার আসামী, ৩নং আসামী হাবিবুর রহমান উরফে হইবুর সাজাপ্রাপ্ত ডাকাতি মামলার আসামী। থানায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ভারত সীমান্ত দিয়ে আসা চোরাচালানের সাথে আসামীগণ জড়িত।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আদালতে গণধর্ষণের একটি মামলা হয়েছে বলে জেনেছি। এখন পর্যন্ত কোর্ট থেকে কোন নির্দেশ আসেনি।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More