সিলেটে সাহেদের বিরুদ্ধে ৩ মামলায় ওয়ারেন্ট
করোনা সার্টিফিকেট জাল করার দায়ে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে এবার চেক ডিজঅনারের ৩ মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করেছেন সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট- ১ম আদালত। রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের বিচারক হারুনুর রশীদ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল তারিখে ১০ লক্ষ টাকা করে ২ টি চেকে ২০ লক্ষ টাকা ও আরও একটি চেকে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় মোট ৩টি মামলা করেন সিলেটের দরবস্ত এলাকার পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মৌলা নামের এক ব্যক্তি। তার করা এ ৩ টি মামলাতেই সাহেদের বিদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত।
শামসুল মৌলা সিলেট ভয়েসকে জানান, সাহেদ আমার কাছ থেকে পাথর নিয়েছিলো। পাথর নেওয়ার পর সে আমাকে চেকগুলো দিয়েছিলো। তাঁর নিজের স্বাক্ষর করা এ ৩ চেকে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সে আরও একটি চেক দিয়েছিলো। ওই চেক অন্যজনের নামে। পরবর্তিতে আমি টাকার জন্য তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে বরং সে আমাকে হুমকিধামকি দিত। ক্ষমতা দেখাতো। আমি গত ৩ এপ্রিল তারিখে তার বিরুদ্ধে নিজের স্বাক্ষর ও নামের একাউন্টের ৩ টি চেকের ৩ টি মামলা করেছি। এ ৩ টি মামলাতেই ওয়ারেন্ট হয়েছে। এখন অন্য আরও একটি চেক আছে যা অন্য ব্যক্তির নামের চেক দিয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করব।
উল্লেখ্য, করোনা সার্টিফিকেট জাল করে গ্রেপ্তার হওয়া সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। ১০ বছর আগের একটি মামলায় ঢাকার আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। সেই মামলায় সাহেদ কখনোই গ্রেপ্তার হননি। আরেকটি মামলায় ২০০৯ সালে সাহেদ গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে ছাড়া পান। বর্তমানে সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ভুক্তভুগী একাধিক ব্যক্তি মামলা করছেন।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More