Main Menu

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মতিউর রহমান এনডিসি, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট ২ আসনের এমপি মোকাব্বির হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, সিলেটের সংরক্ষিত মহিলা এমপি শামিমা আক্তার,  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি জেবুন্নেছা হক, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমদ মুজমদার প্রমুখ।

জানা যায়, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হলে নতুন টার্মিনাল ভবন দিয়ে বছরে ২০ লক্ষ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। আধুনিক স্থাপত্য শৈলী সম্বলিত কাঠামােগত ডিজাইন, অত্যাধুনিক সুযােগ সুবিধা ও স্থাপনাদি এবং দৃষ্টিন্দন উপকরণাদি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিতব্য এ টার্মিনাল দেশী-বিদেশী যাত্রীগণকে মুগ্ধ করবে। ভবনের স্থাপত্য নকশা যৌথভাবে করেছেন কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইয়োসিন ও হিরিম। যারা ইনছিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর টার্মিনাল-২ সহ বিশ্বের বহু এয়ারপাের্টের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান নির্মান করেছে। আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ৬টি বাের্ডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং ২টি, সিঙ্গেল ডকিং ২টি ), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার যার মধ্যে ২টি স্বয়ংক্রিয়, বহিগামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মােট ২৪টি পাসপাের্ট কন্ট্রোল কাউন্টার , ৬টি এসকেলেটর, ১টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য ৩টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের ১ম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং ২য় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হবে। শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সরাসরি যেতে পারবেন। আবার বিদেশ হতে আগত যাত্রীগণ ১ম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রােড ব্যবহার করে শহরের যেকোন প্রান্তে যেতে পারবেন । টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সকল যানবাহন চলাচল হবে একমুখী যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে। নতুন টার্মিনাল ভবনের সাথে আরও যে সকল অবকাঠামাে নির্মাণ করা হচ্ছে তা হলাে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কার্গো টার্মিনাল, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, রক্ষনাবেক্ষণ ভবন, ৬টি উড়ােজাহাজ পার্কিং উপযােগী এপ্রােন, টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র সহ ফুয়েল ডিষ্টিবিউশান এন্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেম সহ আরও অনেক সুবিধা সন্নিবেশিত থাকবে এই নতুন টার্মিনালে।
নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ শেষ হলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ তথা সিলেটের ভাবমুর্তি আরও উজ্জ্বল হবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশের বিমান সংস্থা এ বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের সুযােগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আকাশ পথে যাত্রীদের বিশ্বমানের সুযােগ সুবিধা ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নের সুবিধা হবে। দরপত্র আহবানের মাধ্যমে এবং সরকারের অনুমােদন ক্রমে গত ২৪ মার্চ বেইনজিন আরবান কন্সট্রাক্শন গ্রুপ কো. লিমিটেডকে কার্যাদেশ প্রদান করা। ২০২৩ সালে প্রকল্প কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *