Main Menu

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন: চৌকিদেখিতে প্রবাসীর বাড়ির দেয়ালের সাথে জোর করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

নগরীতে বিল্ডিং কোড অমান্য করে ঘর নির্মাণ এবং তা অপসারণে প্রশাসনের ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‎শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এয়ারপোর্ট থানাধীন পূর্ব চৌকিদেখি এলাকার বাসিন্দা ও ইংল্যান্ডপ্রবাসী মো. ইকবাল হোসেন।
‎সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক আলাউদ্দিন উরফে আলোয়ার মিয়া কোনো অনুমোদিত নকশা ও বৈধ অনুমতি ছাড়াই তার বাড়ির সীমানা দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত করে অর্ধপাকা ইমারত নির্মাণ করেছেন। এ
‎তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমে নির্মাণ কাজ শুরু হলে তিনি বাধা দেন। পরবর্তীতে তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি রাতারাতি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। এ বিষয়ে তিনি এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়।
‎সে অনুযায়ী ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ প্রথম নোটিশ প্রদান করে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ নির্মাণ অপসারণের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে দ্বিতীয় নোটিশ প্রদান করে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো নোটিশের জবাব দেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
‎মো. ইকবাল হোসেন আরও বলেন, অবৈধ নির্মাণের ফলে অভিযুক্ত ভবনের ছাদের বৃষ্টির পানি সরাসরি তার বাড়ির সীমানা দেয়ালে পড়ছে। এতে তার বসতঘরের দেয়াল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এতে তার পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
‎সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, স¤প্রতি অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার ভাড়াটিয়ারা তাকে হুমকি দিয়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করেন এবং প্রাণনাশের ভয় দেখান। এ সময় তার স্ত্রী ৯৯৯—এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
‎তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা প্রবাসীরা বিদেশে কষ্ট করে কাজ করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাই, অথচ দেশে রেখে যাওয়া সম্পদের নিরাপত্তা পাচ্ছি না। সিটি কর্পোরেশন দুইবার নোটিশ দিলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।”
‎সংবাদ সম্মেলন থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত অবৈধ নির্মাণ অপসারণ, বিল্ডিং কোড লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে কার্যকর নজরদারি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি।
‎তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, গণমাধ্যমের সহযোগিতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *