Main Menu

সিলেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা: কিয়ামত পর্যন্ত বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকবে

বাসাবাড়িতে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ সবচেয়ে বড় অপচয় উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কিয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও তা দেওয়া সম্ভব নয়।

স্থানীয় অধিবাসীদের আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাস কূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার পক্ষে যদি সম্ভব হতো, তাহলে আমি ঢাকাতেও আবাসিক গ্যাস বন্ধ করে দিতাম। কারণ হচ্ছে এটা সবচেয়ে অপচয়। শিল্পকারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যেখানে গ্যাসের ঘাটতি, সেখানে বাসাবাড়িতে তো এটা একটা অপচয়। গ্যাস সরবরাহের যে ব্যয় আর গ্যাস থেকে যে টাকা পাওয়া যায় এর মধ্যে বিস্তর ফারাক।

তিনি বলেন, যেসব এলাকায় গ্যাস উৎপাদন হয়, সেসব এলাকায় আমরা স্বল্পমূল্য গ্যাস সিলিন্ডার দিচ্ছি। প্রাইভেট সিলিন্ডার যেরকম ১৪৫৬ টাকা, আর আমরা যে গ্যাস সিলিন্ডার দেব সেগুলো ৮০০ টাকা। সেটা এখনই করা হবে। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ আর সম্ভব নয়। একসময় আমাদের গ্যাসের ব্যবহার ছিল না, তখন বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়েছে। এখন এলপিজি এসে গেছে, আমরা এলপিজির দামও কমানোর চেষ্টা করছি। সামনে থেকে বাসাবাড়িতে এলপিজি আর শিল্পকারখানার জন্য গ্যাস ব্যবহার করবে।

উপদেষ্টা পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডসের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন।

তিনি আরো বলেন, কূপের পাশ থেকে এখানে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। সিলেটের দুটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। আমরা আরেকটা কূপ খনন করব, কাজ হচ্ছে। ওইখানেও আমরা আশা করছি ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাব।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলর প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *