সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন: জাপা নেতা মতিন চৌধুরীর প্রতারণায় নিঃস্ব প্রবাস ফেরত পরিবার

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে জাতীয় পার্টির নেতা মতিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণা, সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ করেছেন এয়ারপোর্ট থানাধীন গোয়াইটুলা মাস্টারবাড়ির কামরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. রাবিয়া বেগম। তিনি জানান, মতিন চৌধুরীর ছলচাতুরির কারণে সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে রাবিয়া বেগম বলেন, ইন্সু্যরেন্স করার সুবাদে নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার এস্কায়ার মহলের বাসিন্দা মতিন চৌধুরীর সাথে ২০১৪ সালে তার পরিচয় হয়। এক সময় মতিন চৌধুরী তার একটি ফ্ল্যাট বিক্রির কথা জানান এবং কিস্তিতে টাকা পরিশোধে সম্মত হন। পরে তিনি ২৫ লক্ষ টাকায় ফ্ল্যাটটি ক্রয় করতে সম্মত হয়ে ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। প্রথমে দেড় লক্ষ টাকার একটি কিস্তি পরিশোধের পর ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল তিনি সন্তানদের নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন। এ সময় তার স্বামী বিদেশে ছিলেন। ফ্ল্যাটে বসবাসের শুরু থেকে বিদ্যুত বিল, পানির বিল, ময়লার বিলসহ সবকিছু তিনি পরিশোধ করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন তারিখে তার স্বামী বিদেশ থেকে ফ্ল্যাট ক্রয়ের বিভিন্ন অঙ্কের টাকা পরিশোধ করেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মাধ্যমে এবং নগদে পুরো ২৫ লক্ষ টাকা মতিন চৌধুরীকে পরিশোধ করেছেন।
২০২৩ সালের ৪ জুন তার স্বামী অসুস্থ হয়ে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন। তখন মতিন চৌধুরীকে ফ্ল্যাটের কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে বললে নানা টালাবাহানা শুরু করেন। সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। এমনকি, বাসার মালামালটুকুও নিতে দেয়নি মতিন চৌধুরী ও তার লোকজন। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলেও কাজ হয়নি। উল্টো প্রভাবশালী মতিন চৌধুরী মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও জেল খাটিয়েছে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাবিয়া আরো বলেন, তার স্বামী দেশে না থাকায় ফ্ল্যাট রেজিষ্ট্রি করে দিতে পারেননি বিধায় মতিন চৌধুরী ফ্ল্যাটের ২৫ লক্ষ ও ধার নেয়া আরো ৫ লক্ষসহ মোট ৩০ লক্ষ টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক তার স্বামীর নামে লিখে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই চেক ডিজঅনার হয় এবং আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
রাবিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, মতিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট এয়ারপোর্ট থানার এস আই সুলেমান তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। মতিন চৌধুরী তাদের চরমভাবে হয়রানি করে আসছে। ‘ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী’ ফাতেমা টেইলার্সের মালিক সাইফুলকে দিয়ে তার স্বামী সন্তানকে রাস্তাঘাটে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। গত ৯ মার্চ মদন মোহন কলেজে পড়ুয়া তার ছেলে ইকরামুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছে মতিন বাহিনীর লোকজন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে যাযাবরের মত জীবনযাপন করছেন। রাবিয়া বেগম বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর এই মতিন চৌধুরী ও তার সহযোগীদের হাত থেকে জানমাল রক্ষায় সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Related News

হ্নদরোগে আক্রান্ত আকবর আলীর শয্যাপাশে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আব্দুল কাইয়ুম
সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাটখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকবর আলীকে দেখতেRead More

সিলেটে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত
সিলেটে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আর্ত মানবতার বিমূর্তRead More