দিনের সফর শেষে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির ঢাকা ত্যাগ
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
দুপুর ১টা ৬ মিনিটে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে তার এই সফরটিকে ‘ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের এটাই প্রথম সফর এবং করোনা মহামারির পর এটা তার প্রথম বিদেশ সফরও।
এ সফরে রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশটির শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. সুভাষ সরকার ও সংসদ সদস্য (লোকসভা) রাজদীপ রায়।
এর আগে গত মার্চে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রাষ্ট্রপতির সফরের প্রধান ঘোষণার মধ্যে রয়েছে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের ঘোষণা, নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো।
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টি-৫৫ ট্যাঙ্ক ও একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রপতিকে উপহার দেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি শুক্রবার রমনা কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করেন যা ১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানি বাহিনী ধ্বংস করে।
অনুষ্ঠানের চেতনাকে সামনে রেখে তিনি ভারতীয় যোদ্ধা ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সফর শুরু করেন।
এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করেন রামনাথ কোবিন্দ। এ বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন এবং দু’দেশের জনগণের সুবিধার জন্য সহযোগিতাকে আরো জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।
তারা একাত্তরের চেতনার গুরুত্ব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং চলমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে তাকে হালনাগাদ করেন।
১৬ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্য বিশিষ্ট একটি দলও কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।
সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপ্তি উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বক্তব্য দেন। এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সফর নিয়ে ভারতীয় পক্ষ বলছে, ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে এ সফরটি দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি উভয় দেশ যে উচ্চ অগ্রাধিকার দেয় তার প্রতিফলন।
সূত্র : ইউএনবি
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More