Main Menu

সিলেট প্রেসক্লাবে ব্য়বসায়ীর সংবাদ সম্মেলন মিরাবাজারে ভাড়া দোকান ছাড়তে নারাজ বিএনপি নেতা ॥ ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি

নগরীর পূর্ব মিরাবাজারে ফার্নিচার ব্য়বসার জন্য় মার্কেট ভাড়া দিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন মালিকপক্ষ। ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়া সত্বেও দোকান ছাড়তে নারাজ ভাড়াটিয়া বিএনপি নেতা আহমদ রেজা। দোকান উদ্ধারে মালিকের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন ওই ভাড়াটিয়া। সেই সাথে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়া নিয়ন্ত্রক সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন।
রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নগরীর নাইওরপুলের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মো. সাইফুল হক বদরুল ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ৫ বছরের জন্য় আলহাজ্ব মো. সাইফুল হক বদরুল মার্কেট ফার্নিচার ব্য়বসার জন্য় ভাড়া নেন বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও বর্তমানে নগরীর উর্মী ৪১/বি শিবগঞ্জের বাসিন্দা আহমদ রেজা। দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় তিনি রাজনৈতিক পরিচয় লুকিয়ে রাখেন। ৫ বছরের দোকান ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলেও দোকান না ছেড়ে চাঁদা দাবি করছেন। তার অনুমতি ছাড়াই দোকানের দরজা, গ্রীল, শাটার ইত্যাদিতে সংস্কার কাজ করিয়ে জোরপূর্বক নিজের দখল প্রতিষ্ঠার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন।
আলহাজ্ব মো. সাইফুল হক বদরুল অভিযোগ করে বলেন, মার্কেট দখলে রাখতে মিথ্যাচার ও প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন আহমদ রেজা। দোকান ভাড়ার বিষয়টি সু-স্পষ্টভাবে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়ার স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে এবং স্বাক্ষীদের সম্মুখে চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়েছে। যা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। অথচ, রেজা এখন জামানতের টাকা ১২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে এবং আয়করের দোহাই দিয়ে ১০ বছরের চুক্তির কথা বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন। এছাড়া, চুক্তিনামায় কোথাও উল্লেখ নেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি মামলা করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী ভাড়ার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন মাস আগে দোকান ছাড়ার নোটিশ দিলে আহমদ রেজা ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকী দেন। যার দরুণ জানমাল রক্ষায় গত ২৯ মার্চ কতোয়ালী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেন। কতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শামসুল হাবীব বিষয়টির সৎয়তা পেয়ে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেছেন। তিনি বলেন, দোকান ভাড়া দিয়ে এমন হয়রানীর সম্মুখিন হব তা কল্পনাও করিনি। নিরুপায় হয়ে গত ১৪ এপ্রিল মহানগর হাকিম আদালতে চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগে আহমদ রেজাকে প্রধান আসামী করে করে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য় কতোয়ালী থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
সাইফুল হক বদরুল আরো জানান, আহমদ রেজা অসৎ উদ্দেশ্য়ে জোর করে তার দোকান মেরামত ও সংস্কার কাজ করলে বাধা সত্বেও আগ্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে। এ ব্য়াপারে তিনি আদালতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করলে আদালত রেজাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। এছাড়া, বিগত ১৩ সেপ্টেম্বর এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরেও একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।এসব বিষয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করে সুফল পাননি। আহমদ রেজা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য় বিধায় আইনজীবী সমিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বদরুল আরো জানান, আহমদ রেজা লোকজনকে হয়রানী ও আইন পরিপন্থী বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত। ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার চেক ডিজনার মামলা দায়ের হয় আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট আদালত জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জে। মামলাটি দায়ের করেন জগন্নাথপুর কেশবপুর (শ্রীরামপুরের) মো. আলী রাজা। এ ছাড়া, ২০২১ সালে মীরাবাজার আগপাড়া মৌসুমি ৮২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকাকালে চুরি করে বিদ্য়ুৎ সংযোগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় বিদ্যুৎ বিভাগের দাবিকৃত ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৬ টাকা ন্য়াশনাল ব্যাংকে পরিশোধ করে আহমদ রেজা বিদ্যুৎ আদালত থেকে খালাস পান। ২০২০ সালে নাইওরপুল হোটেল সুপ্রিমের পাশে আমার শো রুমের পাশ থেকে আমার মালিকানাধীন ৬টি বিদ্যুৎ মিটার হাওয়া হয়ে যায়্। তিন কর্মচারীসহ এতেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। দোকান পূণরুদ্ধারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *