Main Menu

পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়নের দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবর সিলেট বিভাগ ইট প্রস্তুতকারক মালিক গ্রুপের স্মারকলিপি

ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনার জন্য পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়নের দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেট বিভাগ ইট প্রস্তুতকারক মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এই স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগ ইট প্রস্তুতকারক মালিক গ্রুপের আহবায়ক হাজী মো. দিলওয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, সদস্য সচিব হাজী আব্দুল আহাদ, অর্থ সচিব মো. অহিদ মিয়া, সদস্য ফজলুর রহমান, সদস্য আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- পূর্বে বায়ু দূষনের জন্য ইটভাটাকে ৫৮% দায়ী করা হলেও এখন সেটা ১০% এ নেমে এসেছে, যা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশে বায়ু দূষনের জন্য প্রায় ৫০% দায়ী পরিবহন সেক্টর এবং জৈব বস্তু পোড়ানো ৪০% দায়ী হলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বিগত সরকার ইট ভাটার উপর পরিবেশ দূষনের দায় চাপিয়ে ইটভাটা বন্ধ করার লক্ষ্যে ২০১৩ইং সালে কঠোর আইন প্রনয়ন করে যার ফলে ইটভাটা মালিকদের উপর বিভিন্ন নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিগত সরকার ইটভাটা নিয়ন্ত্রনে কঠোর আইন করলেও সরকারের রাজস্ব আয়, লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান ও ইটভাটা মালিকদের ব্যবসায়ের বিনিয়োগের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করেছেন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টান ইটভাটা স্থাপনের পরবর্তীতে ১ কি.মি. এর মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ইং সালের আইনে ১কি.মি. দূরত্বের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্টান থাকলে ইট ভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র না দেওয়ার বিধান ছিল। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে ৫০০মিটার থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্টান থাকলেও সেক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিগত সরকারের পতনের পর বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ে দায়িত্বরত উপদেষ্টা বিগত সরকারের আইন প্রয়োগ করে দেশের ইটভাটাকে নিঃশ্চিহ্ন করার কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক ইটভাটার মালিকগনকে ব্যবসা করার অনুমতিপত্র পরিবেশ ছাড়পত্র দিচ্ছেন না। এ অবস্থা যদি চালু থাকে তাহলে অবকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপকরণ ইট শিল্প ধ্বংশ হয়ে যাবে ফলে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে, দেশের লক্ষ লক্ষ লোক কর্মসংস্থান হারাবে এবং সরকারও কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হবে ।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, বিগত সরকারের প্রণীত অনেক আইনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল অথবা স্থগিত করে সংস্কার সাধন করছেন, তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে অবকাঠামো উন্নয়ন বিরোধী ইট পুড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন অবিলম্বে স্থগিত করে দেশের ইট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। স্মারকলিপিতে গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়া পর্যন্ত যাতে বিগত সরকারের আমলের প্রণীত আইন প্রয়োগ করে ইট ব্যবসাকে বন্ধ না করা হয় সে ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করার ব্যাপারে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী’র সহযোগীতা কামনা করা হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *