Main Menu

স্মার্ট, প্রযুক্তি নির্ভর এবং ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, সিকৃবি ভিসি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষার মানোন্নয়ন, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং আধুনিক শিক্ষণ-পদ্ধতির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “অ্যাক্রেডিটেশন প্রসেস, স্মার্ট টিচিং-লার্নিং অ্যান্ড লার্নিং আউটকাম (এলও) অ্যাটেইনমেন্ট” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এখন স্মার্ট, প্রযুক্তিনির্ভর এবং ফলাফলভিত্তিক। শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের অ্যাক্রেডিটেশন, স্মার্ট টিচিং লার্নিং এবং লার্নিং আউটকাম অ্যাটেইনমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা অত্যাবশ্যক। এসময় তিনি বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার মান কোন স্তরে রয়েছে তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়। এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র গুণগত মান নিশ্চিত করাই নয়, বরং শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও বেশি কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। প্রতিটি কোর্সে লার্নিং আউটকাম স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে এবং নির্ধারিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে কার্যকর মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে। এজন্য আমাদের শিক্ষকগণকে আধুনিক টুলস ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম হতে হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি মাৎস্যচাষ বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি (IQAC)-এর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রযুক্তি ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের প্রায় ৮০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এই কর্মশালাকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ, সময়োপযোগী ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হিসেবে মূল্যায়ন করেন। তাঁরা বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *