Main Menu

ওসমানীনগরের আব্দুল হাদীর সংবাদ সম্মেলন: তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ও ইউপি চেয়ারম্যানের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

ওসমানীনগরের খয়েরপুর গ্রামের ইতালী প্রবাসী মো. আব্দুল হাদী তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর কারণে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ১৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী মোছা. শিল্পী বেগমের বেপরোয়া চলাফেরা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বাধ্য হয়ে তিনি তাকে তালাক প্রদান করেন। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হাদী বলেন, তালাকনামা ইতালি থেকে লিখে তার কপি বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ পাঠান। তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানের প্রশ্রয়ে ওই মহিলা তার ভা্ইদের নিয়ে তার ঘরবাড়ি দখল করে বসে থাকে। তার মায়ের অসুস্থতার খবরে দেশে এসে মাকে চিকিৎসা করাতে গেলে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও স্ত্রীর ভাইয়েরা বাধা প্রদান করে। চেয়ারমান ও তার সহযোগীরা জোর পুর্বক তালাক দেওয়া স্ত্রীকে তার সাথে রাখতে চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে তার মাকে চিকিৎসকের কাছে নিলে চিকিৎসক জানান অযত্ন অবহেলায় তার মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে হাসপাতালে রাখতে না পেরে মাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর কয়দিন পর তার মা মারা যান।
প্রবাসী আব্দুল হাদী বলেন, তার বিষয়টি সমাধান না করেই চেয়ারম্যান বিদেশ চলে যান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে কয়েকদফা সালিস বৈঠক হলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে চেয়ারমান দেশে আসার পর বিচারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। চেয়ারম্যান ঘরোয়া পরিবেশে বিষয়টি শেষ করার আশ্বাস দিলে তিনি তার ভা্ই, ভাতিজা, সাবেক ৪ বারের মেম্বার আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার খাঁন ও গ্রামের প্রবীন মুরুব্বি মুবাশ্বির হাসান চৌধুরীকে নিয়ে বিচারে যান।
তিনি অভিযোগ করেন, বিচারে চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান পক্ষপাত দুষ্ঠ রায় দেন। যার মধ্যে রয়েছে তালাক দেয়া স্ত্রীকে ২ লাখ এর জায়গায় ৮ লাখ টাকা কাবিন দেওয়া ও মার্কেটের ২টি দোকান রেজেস্ট্রি করে দেয়া। তাছাড়া, তার বসতঘরে ২টি রুম, ৬ একর জায়গা ও তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ইতালি নেওয়ার কথা বলেন। এছাড়াও প্রতি মাসে তার তালাক দেয়া স্ত্রীকে নগদ ৩০ হাজার টাকা করে দিতে চেয়ারম্যান রায় দেন। সাবেক মেম্বার আব্দুস সাত্তার খাঁন এ রায় হয়নি বলে জানালে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে ঘেরাও করে হত্যার চেষ্টা করে। তারা তার ঘাড়ের নিচে একটি খুন্তির আঘাত ও তার ভাইকে রামদা দিয়ে আঘাত করে। তাৎক্ষণিক ভাতিজা ও ভাই এসে তাকে রক্ষা করেন। এ ব্যাপারে তিনি ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ইতালি প্রবাসী আব্দুল হাদী তার তালাক দেয়া স্ত্রী ও বুরুঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *