জালালাবাদ টিটি কলেজে ওরিয়েন্টশন

জালালাবাদ টিটি কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) প্রফেসর ছয়ফুল কবীর চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষকরা কেবল মানুষ গড়ার কারিগরই নন একই সঙ্গে সমাজ ও জাতির বাতিঘর। আলোকবর্তিকা ছাড়া যেমন অন্ধকার দূরীভূত হয় না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া জাতি অন্ধকার থেকে আলোকিত হতে পারে না। আর এ আলো জ্বালানোর এ মহতী কর্ম সম্পাদন করেন শিক্ষকরা।
তিনি শুক্রবার সিলেট বিভাগের প্রথম শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বি.এড ২০২৫ ব্যাচে’র ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ছয়ফুল কবীর চৌধুরী বলেন, জুলাই-২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিপ্লবে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা, শিশু ও যুবকের পঙ্গুত্ব বরণের ঘটনা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ব্রিটিশ আমল থেকে উপমহাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলে আসছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এ অধ্যাপক ও বরেণ্য শিক্ষাবিদ বলেন, বৈষম্যের প্রতিবাদে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব, পরবর্তীতে ১৯৪০ সালে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুুদ্ধ এ সবই বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণ জোয়ারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমীর, সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর বালাকোটের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এ সবই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইতিহাস।
তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র, শিক্ষা, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও অর্থনীতিতে সংস্কার অত্যাবশ্যক। শিক্ষক সমাজকে আগামী প্রজন্মের কাছে এসব তুলে ধরে তাদের মধ্যে এ স্বাধীন চেতনা ও বৈষম্যবিরোধী ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা প্রদান করতে হবে যাতে শোষণ ও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. হাসমত উল্লাহ প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদেরকে শ্রেণি পাঠদানে নৈতিকতা শিক্ষাদানে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান। এ কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এড অর্জন করে সিলেট বিভাগসহ দেশের অন্যান্য মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ অনেকেই অলংকৃত করেছেন ও করছেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের নিজেদের নৈতিকতার গুণে গুণান্বিত হয়ে আদর্শ, দক্ষ ও সুশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। “আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি”- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অমোঘ বাণী উদ্ধৃত করে তিনি বি.এড প্রশিক্ষণার্থীদের নবীর আদর্শ অনুসরণের উদাত্ত আহবান জানান।
সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুস শাকুর’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ মনাক্কা আক্তার চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সুলায়মান চৌধুরী, প্রভাষক মর্তুজা আলী, প্রাক্তণ প্রশিক্ষণার্থী মো. নাসির উদ্দিন। বি.এড ২০২৫ ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য দেন মো. মিজানুর রহমান. মো. নূরুল ইসলাম, জামিল আহমদ চৌধুরী, রেবিন বেগম ও মকসুদুল করিম চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
Related News

জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ডা. ফজলুর রহিম কায়সার বলেছেন, আমাদেরRead More

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আইডিই-র যৌথ অংশীদারিত্বে সমঝোতা স্মারকের সূচনা সভা
বুধবার (৬ আগস্ট) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) এবং আইডিই বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারকের (MoU) মাধ্যমেRead More