সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন: ফেঞ্চুগঞ্জে মৎস্যজীবী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে অন্যের বসতভিটার ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলার পিটাইটিকর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুস শহিদের পুত্র কে এম সাজ্জাদ আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাজ্জাদ আহমদ বলেন, তিনি ও তার ভাইয়েরা বাড়িতে না থাকায় তাদের ভূমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছামাদের। স্বৈরাচারের দোসর প্যানেল চেয়ারম্যান ছামাদ প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সরকারি প্রজেক্টের মাধ্যমে তাদের বাড়ির উঠান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। যার ফলে তাদের হাটাচলার জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। একই সাথে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গত ১০ মার্চ ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এই ব্যাপারে তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী কানু বাদী হয়ে গত ১১ মার্চ সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি বিবিধ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদ ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আশাকুর রহমান এবং তাদের গ্রামের মৃত সোলেমান উদ্দিনের পুত্র সনজির আহমদ। আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। সেই সাথে আদালত বিবাদী পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ আহমদ জানান, মামলা দায়ের করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান সরকারি কাজে বাঁধার অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেওয়ায় তারা চরম আতংকে রয়েছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে জানালে প্রাণে মারাার হুমকি দিচ্ছেন প্যানেল চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।
তিনি আরো জানান, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজীসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আব্দুস ছামাদ হাসিনা সরকারের একজন চিহ্নিত দোসর। তার নেতৃত্বে জুলাই আগস্টের আন্দোলনের বিরোধীতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় অস্ত্র হাতে নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে অবস্থান করতেন ছামাদ। ছামাদ সিলেট বিভাগের অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যাবসায়ী। কারেন্ট জাল নিয়ে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট ধরা পড়ে ক্ষমতা খাটিয়ে নিজেকে সাজা থেকে নিরাপদ রাখেন। এখনও তিনি অবৈধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ আহমদ ছাত্র—জনতার ওপর হামলাকারী আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Related News

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটসহ সদর উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আজিজুর রহমান আজিজ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেটসহ সদর উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওRead More

শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক গড়ে তুলতে হবে, মাওলানা হাবিবুর রহমান
সিলেট ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানাRead More