Main Menu

অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত সৈনিক হাবিবুর রহমান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনোলন যখন এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। তখন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর রাজপথে একাকার হয়ে যায় ছাত্র জনতা। ভয়াবহ সেই দিন গোলির অন্যতম ২৯ জুলাই ২০২৪। সারা দেশের ন্যায় সিলেটের তেমুখি পয়েন্টও ছিলো উত্তাল। ঔদিন বিকেল ৩টা থেকে দফায় দফায় পুলিশ ও ছাত্র—জনতার সংঘর্ষ চলছিল। তখন বৃহত্তর টুকেরবাজার এলাকার অনেক ছাত্র— জনতা আহত হয়েছিলো।  তার মধ্য অন্যতম ৩৮ নং ওয়ার্ডের খালিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তার ডান চোখ ও শরীরে অসংখ্য গুলি লেগেছিলো। সে সময় বেশিরভাগ আহতরাই সরকারি হাসপাতালে পুলিশের ভয়ে চিকিৎসা নিতে যায়নি। হাবিবুর রহমানও সেই পরিস্থিতির কারণে লোকাল ফার্মেসি থেকে কিছু ঔষধ খেয়ে ছিলো। গুলির ব্যাথায় যখন তার খুব কষ্ট হচ্ছিলো তখন সে নিজে নিজে সেপ্টিন দিয়ে শরীরে লাগা ছিটা গুলি বের করেছিলো। ৫ আগস্ট দেশ যখন স্বধীন হয়, পরিস্থি স্বাভাবিক হলো তার পর আহত শরীর নিয়ে ১৪ আগস্ট সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং চোখের ৭টি অপারেন সহ শরীরের চিকিৎসা নেয়।
হাবিবুর রহমান একটি দরিদ্র পরিবারের লোক। তার পরিবারে পিতা, মাতা, স্ত্রী ও ছোট ২টি শিশু সন্তান রয়েছে।  নিজে একজন গাড়ী চালক, প্রাইভেট কার চালিয়ে সংসার চালান। পিতা  সিরাজ উদ্দিন দু চোখে দেখেননা। মা সুর্য বান বানুও অসুস্থ একটি হাত ভাঙ্গা। তারা দির্ঘদিন যাবৎ খালিগাঁও আলাউদ্দিন মিয়ার কলোনী বাদাঘাট রোড, হযরত উসামান ইবনে আফফান (রা) মাদ্রাসার পাশে, বাসবাস করছেন। গত ১৫ নভেম্বর সদর উপজেলা থেকে ৫ হাজার টাকার একটি অনুদান পেয়েছিলেন আর কোন সরকারি, বেসরকারি সহযোগিতা পান্নি। জুলাই বিপ্লব ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযো রয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অনুদান সে পায়নি। হাবিবুরের চোখে গুলি লাগার কারণে ঠিকমত গাড়ী চালাতে পারেনা। তার পিতা— মাতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন এই পবিত্র রমজানের রোজা রাখছেন শাক—সবজি খেয়ে। একতো বাসা ভাড়া অন্যদিকে সংসার খরচ।  আর্থিক সংকটে পড়া এই পরিবারে প্রতি জুলাই ফাউন্ডেশন বা রাজনৈতিক দল গুলোর দৃষ্টিপাত প্রয়োজন। বিশেষ করে তার বৃদ্ধ পিতা—মাতা ও দুটি শিশু রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তিও সহযোগিতা করতে চাঁন তার বিকাশ নম্বর ০১৭৩৫০২২১৬৬।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *