শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘সেরা ক্রিকেট’ খেলতে মুখিয়ে বাংলাদেশ
পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ হেরে কঠিন সমীকরণে আটকে গেছে বাংলাদেশ। নারী এশিয়া কাপে সেমিফাইনালের টিকিট পেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বাকি ম্যাচগুলোতে জিততেই হবে। থাইল্যান্ড ৫ ম্যাচে তিন জয় তুলে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে। থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যেতে হলে শ্রীলঙ্কার পর আরব আমিরাতের বিপক্ষেও নিগার সুলতানার দলকে জিততে হবে। কোনও একটি ম্যাচ হেরে গেলে তখন পড়তে হবে রান রেটের কঠিন হিসেব-নিকেশে। সমীকরণের জটিলতা থাকায় বাংলাদেশের পেসার লতা মণ্ডল জানিয়ে গেছেন, নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছে পুরো দল।
সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে প্রভাব বিস্তার করে জিতলেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বরাবরই হতাশাজনক। সোমবার সকালে বাংলাদশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এই দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ চারবার জিতলেও শেষ ৫ বারের মুখোমুখিতে সবগুলোতেই হেরেছে! ফলে লতার কথা অনুযায়ী এখন নিজেদের ‘সেরা ক্রিকেট’ খেলার বিকল্প নেই। সেমিফাইনালে যাওয়ার প্রশ্নে লতা মণ্ডল বলেছেন, ‘আসলে কঠিন না। গত ম্যাচটা খারাপ হয়েছে। কিন্তু এখন পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। আমাদের সেমিফাইনাল কাল নিশ্চিত হবে কিনা, সেটা নিয়ে ভাবছি না। এখনও দুটো ম্যাচ আছে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ যাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চেষ্টা করবো সেরা ক্রিকেট খেলতে।’
ছোট দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ আধিপত্য বিস্তার করলেও বড় দলগুলোর বিপক্ষে সুবিধা করতে পারে না। কেন পারে না এমন প্রশ্নে লতা বলেছেন, ‘এখানে কোনও দলই ছোট না। সবাই ভালো দল। যেহেতু টি-টোয়েন্টি খেলা, আপনারা দেখেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে থাইল্যান্ড জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে সবাই সেরা, কোনও দল খারাপ না।’
ভারত ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে রবিবার সকাল থেকেই কাজ করেছে পুরো দল। সোমবার মেয়েরা নতুন ভাবে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছে, ‘আসলে দেখেন আমরা অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। খেলোয়াড় হিসেবে খেলায় হার-জিত আছে। এটাই স্বাভাবিক যে দল সবচেয়ে ভালো করবে, দিনশেষে তারাই জিতবে। ভারত ভালো খেলেছে, আমাদের ছোট ছোট কিছু ভুল ছিল, ওগুলো কারেকশন করার চেষ্টা করছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে জায়গায় উন্নতি দরকার মনে করেছি, সেগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে।’
পুরুষ ক্রিকেটাররা প্রায়ই বলেন, পাওয়ার হিটারের অভাবে তারা ম্যাচ জিততে পারছেন না। যদিও নারী দল সেটি মনে করে না। লতার মতে তাদের দলে বড় বড় ছক্কা মারার মতো ক্রিকেটার আছেন, ‘এমনিতে মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটার অনেক। আসলে দেখেন এক বলের খেলায় চার মারা যায়, ছয় নেওয়া যায়, সিঙ্গেলও নেওয়া যায়। এটা নির্ভর করে আমার ওপর কীভাবে খেলবো। পাওয়ার হিটার অবশ্যই দরকার আছে। আমরা যে খেলি না তা নয়। দলে পিংকি, জ্যোতি, রোমানা, সোবহানা, অনেকে বড় বড় ছক্কা মেরেছে।’
Related News
দুই ম্যাচের প্রথমটিতে ১-০ গোলে মালদ্বীপের কাছে হার বাংলাদেশের
ঘরের মাঠে হার দিয়ে নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোর ম্যাচ শুরু করলো বাংলাদেশ। আজ বসুন্ধরার কিংস এরেনায়Read More
বিপিএলে দর্শকদের বিনামূল্যে পানি দিবে বিসিবি!
আগামী ৩০শে ডিসেম্বর পর্দা উঠবে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল)।এবারের আসরকেRead More