সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবরে লন্ডন প্রবাসী এক নারীর আকুতি

সিলেট নগরীর নবপুস্প ৭৫ যতরপুরে বাসার মালিক, লন্ডন প্রবাসী রায়হানা চৌধুরী ফাহমিদা বেগম নামের এক মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনার বরাবরে গত ২৫ আগস্ট অভিযোগ প্রদান করেছেন।
রায়হানা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ী সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার রাউতখাই গ্রামে। তিনি মছব্বির চৌধুরী আব্দুল আজিজ এর স্ত্রী।
তিনি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এর মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার বরাবরে অভিযোগে উল্লেখ করেন ১নং বিবাদী মৃত এলাইছ মিয়ার মেয়ে ফাহমিদা বেগম (৩৫) কে আত্মীয়তার সুবাদে কিছু দিনের জন্য তার নবপুস্প ৭৫ যতরপুরস্থ বাসায় থাকতে দেন। কিন্তু তাকে বাসার কেয়ারটেকার ও আশপাশের লোকজন জানান অনেক দিন যাবত পাড়ার এবং বাহিরের কিছু সংখ্যক বিপথগামী যুবক বাসায় যাতায়াত করে। শুধু তাই নয় স্বামী আব্দুল মালিককে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার- নির্যাতন করে পাগল সাজিয়ে বন্দি করে রাখে। রায়হানা চৌধুরী, তার আত্মীয় স্বজন ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে ১নং বিবাদী ফাহমিদা বেগমকে পরকীয়ার কারণে স্বামী আব্দুল মালিক তালাক প্রদান করেন।
এদিকে তার বাসার কেয়ারটেকারের স্ত্রী রেনু বেগমকেও নানা ভাবে নির্যাতন করে ঐ দুস্ট মহিলা ১নং বিবাদী ফাহমিদা বেগম, ২নং বিবাদী তার ভাই কিনু মিয়া ও রুজেল নামের একজন । তারা নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আম্বরখানাস্থ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ অফিসে সহযোগীতা চেয়ে আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে একাধিক বার মানবাধিকার অফিসে সালিস বসলে কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। বাসাতে বেআইনী কর্মকাণ্ড বন্ধ ও বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানালে সর্ব শেষ ৯ আগস্ট প্রতিবারের ১০ লক্ষ্য টাকা চাদা দাবী করে। টাকা না দিলে বাড়ী ছাড়বেনা বলে হুমকি দেয়। এর আগের দিন বাসার কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়া সাক্ষীদেরকে বহিরাগতদের এনে হুমকি প্রদান করে। ৯ আগস্ট সকালে রায়হানা চৌধুরী ঘটনাস্থলে গেলে তার উপর হাত তুলতে ফাহমিদা ও কিনু এগিয়ে আসে। এবং বলে মানবাধিকারের অফিসে বলেছিলাম ১০ লক্ষ্য টাকা দিতে। এখন ২০ লক্ষ্য টাকা দিতে হবে। কারণ আমার সাথে থানার পুলিশ ও এলাকার প্রভাবশালী নেতারা আছেন তাদেরকে কিছু দিতে হবে। রায়হানা চৌধুরী উল্লেখ করেন নিজ বাসা থাকা সত্যেও এই মহিলা ও তার গুণ্ডা বাহিনীর ভয়ে তিনি গ্রামের বাড়ীতে চলে যান। তার কেয়েরটেকার ও নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে থানায় চাদা দাবীসহ নির্যাতনের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১০ আগস্ট একটি লিখিত অভিযোগ পাঠান। কিন্তু ৩-৪ দিন পর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি মামলা হিসেবে নেয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেন।
রায়হানা চৌধুরী বলেন, একজন প্রবাসী নারী হয়ে আমি কার কাছে সাহায্য পাবো। আমার সরলতার সুযোগে জোর পূর্বক বাসা দখল, চাদা দাবী ও আমার লোকজনকে মারধোরের বিচার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা কার কাছে পাবো। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি পুলিশ কমিশনার বরাবরে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।
Related News

অচেতন অবস্থায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রী উদ্ধার
সিলেটে এক কলেজছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট শহরতলিরRead More

সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাবো: এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান
সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেRead More