Main Menu

ওসমানীনগরে ৩ প্রবাসীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু নিয়ে যা বললেন পুলিশ সুপার

সিলেটের ওসমানীনগরে ৩ প্রবাসীর মরদেহে রাসায়নিক বা বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি, এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই পুলিশের বক্তব্য।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান সিলেটের বিদায়ী পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

এসময় তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে- এটি একটি দুর্ঘটনা। তদন্তে প্রবাসী পরিবারের স্বজন ও আশেপাশের সংশ্লিষ্ট সকলকে জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বশত্রুতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দু-এক দিনের মধ্যে ভিসেরা রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, জেনেরেটরের ধোঁয়া থেকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই রফিকুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে বড় ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই তাজপুর স্কুল রোডে ৪ তলা বাসার দুতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ৫ সদস্যের পরিবার।

২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাসার অন্যান্য কক্ষে থাকা আত্মীয়রা ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নাম্বারে ফোন দেন রফিকুলের শ্যালক দিলওয়ার।

খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে দরজা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ব্রিটিশ নাগরিক রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী হোসনে আরা, বড় ছেলে সাদিককুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ও ছেলে সাদিককুল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও দীর্ঘ ১১দিন সজ্ঞাহীন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে থাকা সামিরা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *