Main Menu

সিলেট চেম্বারে ২২ পদে লড়ছেন ৪৪ জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ৪

সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র দ্বিবার্ষিক (২০২২-২৩) নির্বাচন আগামী ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ড ও ৩ সদস্যবিশিষ্ট আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোটার ও বৈধ প্রার্থী তালিকা।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার জলিল। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় চেম্বারের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।

বক্তব্যকালে আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, সিলেট চেম্বারের ২০২২ ও ২০২৩ সাল মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ৩ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ডে আমার সঙ্গে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মিছবাউর রহমান আলম ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম। অপরদিকে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডভোকেট ড. এম. শহীদুল ইসলাম এবং দুই সদস্য হচ্ছেন অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার কর ও মো. আতিকুর রহমান শাহিন।

আব্দুল জব্বার জলিল জানান, আগামী ১১ ডিসেম্বর (শনিবার) নগরীর ধোপাদীঘিরপাড়স্থ ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২০ অক্টোবর প্রাথমিক ও ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবং ২৮ নভেম্বর বৈধ প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল জব্বার জলিল বলেন, এখন ভোটারদেরকে ভোটার আইডি কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ভোটার আইডি কার্ড নির্বাচন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিতরণ করা হচ্ছে। নির্বাচন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকল পর্যায়ের প্রশাসনে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতিসহ কয়েকটি সংস্থার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ বছর নির্বাচনে সিলেট চেম্বারের ৪টি সদস্য ক্যাটাগরির মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে ১২, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে ৬, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি থেকে ৩ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণি থেকে ১ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এ ২২টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে ১৮ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে ১২ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি থেকে ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণি থেকে ১ জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রার্থী আবু তাহের মো. শোয়েব, মো. হিজকিল গুলজার ও মো. আতিক হোসেন- এই ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রার্থী আমিনুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ট্রেড গ্রুপ ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন ছাড়া বাকিগুলোর মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এজাজ আহমদ চৌধুরী, মো. মামুন কিবরিয়া সমন, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী (এনাম), মুশফিক জায়গীরদার, ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আব্দুল হাদী পাবেল, মো. আনোয়ার রশিদ, মো. নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, মো. খুবেব হোসেইন, ফায়েক আহমেদ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মো. মাসনুন আকিব বড় ভূইঞা, মো. হিফজুর রহমান খান, মো. আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, মো. আব্দুস সামাদ, শান্ত দেব, মো. রুহুল আলম, জহিরুল কবীর চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, দেবাংশু দাস, মো. আবুল হােসেন, মো. জসিম উদ্দিন ও সামিয়া বেগম চৌধুরী।

অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাহমিন আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), মো. মুজিবুর রহমান মিন্টু, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জয়দেব চক্রবর্তী, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী মুশফিক, জিয়াউল হক, মো. আবুল কালাম, মো. রাজ্জাক হােসেন, সরোয়ার হোসেন (ছেদু), মো. রিমাদ আহমদ রুবেল ও মো. সাহাদত করিম চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল জব্বার জলিল জানান, সিলেট চেম্বারের এবারের নির্বাচনে অর্ডিনারি ভোটার সংখ্যা ১৩৪৮ জন, অ্যাসোসিয়েট ১২৪২ জন, ট্রেড গ্রুপ ৯ জন ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন ১জন। ১১ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের পর পরিচালকবৃন্দের মধ্য থেকে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতি পদের নির্বাচন ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে সকল প্রক্রিয়া শেষে করে ২০ ডিসেম্বর নির্বাচনের চূাড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

সিলেট চেম্বারের নির্বাচনকে শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার জলিল।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *