রাজধানী থেকে নিখোঁজ সেই ৩ ছাত্রী উদ্ধার
রাজধানীর পল্লবী থেকে নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোরে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা। তিন ছাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিখোঁজ এক শিক্ষার্থীর বড় বোন অ্যাডভোকেট রওশন দিল আফরোজ। র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) এডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আজকে ভোরে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি -ব্লক ১৮ নম্বর লাইন এলাকা থেকে ওই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এরপর নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মিরপুরের পল্লবীর ব্লক-সি, সেকশন-১১ তে প্যারিস রোডের ৭১-তে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিখোঁজ শিক্ষার্থী নিশা বসবাস করতেন। নিশা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেন। পড়ালেখার সুবাদে আসামি মো. তরিকুল্লাহ, তার বড় ভাই মো. রকিবুল্লাহ, জিনিয়া ওরফে টিকটকার জিনিয়া রোজ ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়নদের সঙ্গে নিশাসহ তার অপর দুই বান্ধবী স্নেহা আক্তার এবং কানিজ ফাতেমার সঙ্গে পরিচয় হয়। মামলার তৃতীয় আসামি টিকটক জিনিয়া রোজ প্রায় সময় নিশাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। মাঝে মধ্যেই তরিকুল্লাহ এবং জিনিয়া নিশাদের বাসায় এসে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বাসার বাইরে নিয়ে যেতেন।
ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে নিশার বোনের মেয়েকে তার মায়ের কাছে রেখে যেতে আসলে তখন নিখোঁজ শিক্ষার্থী স্নেহা এবং কানিজ ফাতেমার মা’সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা বাসায় আসেন। এ সময় নিশা এবং তার বান্ধবীর মায়েরা জানান, শিক্ষার্থীদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে প্রতিবেশী এবং নিকটাত্মীয়দের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে আসামি তরিকুল্লাহ, রকিবুল্লাহ এবং জিনিয়ার প্রতি নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে নিশার মা বাসার আলমারি খুলে দেখতে পান তার হজে যাওয়ার জন্য রাখা নগদ ৬ লাখ টাকা এবং ৮০ হাজার টাকা মূল্যমানের স্বর্ণালঙ্কার, নিশার স্কুল সার্টিফিকেট এবং জন্মসনদ কিছুই নেই। এদিকে নিশার বান্ধবী স্নেহার বাবা এসে জানান, বাসা থেকে তার মেয়ে নগদ ৭৫ হাজার টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, স্কুল সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন নিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন সকাল ৯টায় আসামিরা মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সহযোগীদের নিয়ে একটি অজ্ঞাত নম্বরের সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে তাদেরকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মো. তরিকুল্লাহ, মো. রকিবুল্লাহ , জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়ন (১৮) মানব-পাচারকারী চক্রটির সঙ্গে জড়িত বলেও ওই তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
Related News
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরে কবরস্থানের জমি উদ্ধার করলেন ইউএনও
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবেরবাজার এলাকায় অবস্থিত বাজারতল কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানেRead More
সিলেট জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত: হাইকোর্টের রুল জারি
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন (SDFRA)-এর ২০২৫–২০২৯ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন প্রক্রিয়া ছয়Read More

