শান্তিগঞ্জে লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে নৌকা চড়া উপভোগ করলেন পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান

পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে উপভোগ করলেন নৌকা চড়া। শুক্রবার সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের ৬০ হাত লম্বা বিশিষ্ট ‘বীর বাংলা’ দৌঁড়ের নৌকা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর গ্রামে আসেন স্থানীয় লোকজন। নৌকা দেখতে এগিয়ে আসেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান ছাড়াও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার-উ-জ্জামান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সখিনা বেগম, থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ‘বীর বাংলা’ নৌকা দেখে উচ্ছ¡সিত হয়ে পড়েন মন্ত্রী এম. এ. মান্নান। এক পর্যায়ে লুঙ্গি গেঞ্জি পড়ে নিজে আগ্রহেই দৌঁড়ের নৌকায় অগ্রভাগে উঠে পড়েন তিনি। এরপর মন্ত্রীকে নিয়ে কিছু জায়গা প্রদক্ষিণ করে ‘বীর বাংলা’ নৌকাটি। এ সময় বীর বাংলার বাইছের লোকজন মন্ত্রীকে সারি গান শুনান।
বীরগাঁও গ্রামের ‘বীর বাংলা’ নৌকার মালিক সাদিকুর রহমান (৩০) বলেন,‘আমাদের নৌকার কথা শুনে মন্ত্রীসাব নৌকাটি দেখার জন্য আমার আব্বাকে বলেছিলেন। তাই আজ সকালে আমরা নৌকা নিয়ে মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী সাবকে নৌকায় উঠিয়ে আমরা কিছু সময় বাইছ দিয়েছি। নৌকা ও বাইছ দেখে আমাদের বীরগাঁও-পাখিমারা হাওরে নৌকা বাইছের আয়োজন করলে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান বললেন, ‘এলাকার মানুষ একটা সুন্দর নৌকা তৈরি করেছেন। আনন্দ-ফুর্তি করতে তারা নৌকাটি নিয়ে এসেছিল। তাদের অনুরোধে নৌকা উঠেছি। তারা একটা নৌকা দৌঁড়ের আয়োজন করতে চায়। বলেছি ওসি ও ইউএনও’র সাথে কথা বলে আগামী মাসে আয়োজন করতে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, জন্মের পর থেকেই নৌকা দেখে আসছি, নৌকার সাথে পরিচয়। হাওর ও নৌকা দেখে বড় হয়েছি। আগে গ্রামের গরিব-ধনী সবারই ঘাটে ছোট-বড় ছিল নৌকা। আমার নিজের ছোট একটা ডিঙ্গি নৌকা আছে। নিজে কাঠ কিনে মিশ্রি দিয়ে নৌকাটি তৈরি করেছি। এটি হাতে চালানো যায়। আমি নৌকা বাওয়া (চালানো) খুব পছন্দ করি। বাড়িতে আসলে নৌকাটি নিয়ে বাওয়ার চেষ্টা করি বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ডুংরিয়া গ্রামের পৈত্রিক বাড়ি গত বছর দান করে দিয়েছেন সরকারকে। তার মায়ের নামে সেখানে স্থাপন করা হচ্ছে আজিজুননেসা টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশে শান্তিগঞ্জ গ্রামে বসবাস করছেন। বাড়ির পাশের নাইন্দা নদীতে নৌকা চড়ার জন্য একটি ছোট নৌকা তৈরি করেছেন তিনি। সময় পেলেই নাইন্দা নদীতে একা একা বৈঠা বেয়ে নৌকায় ঘুরেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকার জগন্নাথপুরে দিনভর সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে বিকেলে বাড়িতে এসেই লুঙ্গি গেঞ্জি পড়ে বৈঠা হাতে উঠে পড়েন নৌকায়। নিজ বাড়ির পাশে নাইন্দা নদীতে বেশকিছু সময় একা নৌকা চড়েন তিনি।
Related News

সদর উপজেলার দায়িত্বশীলদের সাথে মতবিনিময় সভায় মাওলানা হাবিবুর রহমান, আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থীRead More

ঈদ উপলক্ষে কান্দিগাঁও ইউনিয়নে ৪ টি মাদ্রাসায় হিফজ শাখার ছাত্রদের মধ্যে জামায়াতের ঈদ উপহার বিতরণ
সিলেট সদর উপজেলার ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরু মীরেরগাঁও লতিফিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা, মীরেররগাঁওRead More