রবিনসনের মুসলিমবিদ্বেষী টুইটের শাস্তি মানতে পারছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
মুসলিমবিদ্বেষী ও নারী অবমাননাকর টুইট করায় ইংলিশ পেসার অলিভার রবিনসন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টিতে কষ্ট পেয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
রবিনসনকে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটি মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তার ধারণা, এত কড়া শাস্তি দিয়ে বাড়াবাড়ি করছে ক্রিকেট বোর্ড।
গত বৃহস্পতিবার লর্ডসে বল হাতে নেওয়ার পর থেকেই রবিনসনের সেসব বর্ণবাদী টুইট হঠাৎ করেই উদয় হয়।
রবিনসনের ওই টুইটগুলোতে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুসলিমদের সম্পৃক্ততার দাবি করা হয়েছে। এছাড়া এশিয়ান বংশোদ্ভূত ও নারীদের প্রতি ছিল অবমাননাকর মন্তব্য। যেসব টুইটের জন্য নির্বাসিত হলেন রবিনসন, এর সবই ৮-৯ বছর আগের।
এসব টুইট প্রকাশ পাওয়ায় রাজসিক অভিষেকের পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংলিশ পেসার অলিভার রবিনসন।
শুধু নিষিদ্ধই নয়, তাকে ইংল্যান্ডের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতেও বলেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে এ শাস্তি মানতে পারেননি ব্রিটিশ ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসচিব অলিভার ডাউডেন। ক্রিকেট বোর্ডকে শাস্তির ব্যাপারে আরেকবার ভাবতে বলেছেন তিনি।
সোমবার তিনি বলেন, ‘ওলি রবিনসনের টুইট ভুল ছিল এবং খুবই বাজে ছিল। কিন্তু সেগুলো প্রায় এক দশক পুরোনো এবং একটা কিশোর ছেলে লিখেছে। সেই কিশোর এখন পূর্ণবয়স্ক মানুষ এবং সঠিক পথে ক্ষমা চেয়েছে। তাকে নিষিদ্ধ করে ইসিবি বেশি বাড়াবাড়ি করেছে, ওদের আরেকবার ভাবা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনেরও ধারণা, কিশোর বয়সে যা করেছেন, তার জন্য এখন এত বড় শাস্তি পাওয়া ঠিক না রবিনসনের।
এক মুখপাত্রের মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অলিভার ডাউডেন যেমন বলল, এই মন্তব্যগুলো এক দশক আগে একটা কিশোর করেছিল এবং এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছে।
Related News
আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের পর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন ৪০ রান করতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ স্বীকার করেছেন আরো অন্ততRead More
রুচি ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু
বুধবার শুরু হয়েছে রুচি ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনেRead More

