পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
সিলেটে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসি’র উদ্যোগে শনিবার (২ জানুয়ারি) ‘করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালনের জন্য ওসি-দের প্রতি নির্দেশ’ শীর্ষক এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের পরিচালনায় কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।
কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসি প্রসিকিউশন (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, পি.বি.আই, সিলেট-এর পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান, মহানগর দায়রা জজ আদালত, সিলেট এর পি.পি নওসাদ আহমদ চৌধুরী,
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসের সকল ম্যাজিস্ট্রেট, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশের এ.সি প্রসিকিউশন, এসএমপি’র সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বনবিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ।
সভায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেন ‘করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালনের জন্য ওসি-দের প্রতি নির্দেশ’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সভায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম বলেন, কোর্ট মালখানা এবং থানা মালখানায় ব্যাপক পরিমাণ জব্দকৃত আলামত থাকায় সেই সকল আলামত সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম/ধ্বংসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি টিম গঠন করে তদারকি করে আদালতকে অবগত করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম/ধ্বংসযোগ্য আলামত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
মাদকের মামলায় নমুনা আলামত রেখে অবশিষ্ট আলামত থানায় ফেলে না রেখে ধ্বংসের জন্য আবেদন করার জন্য প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করা হয় সভায়।
সভায় আরও বলা হয়, আসামিদের পি.সি/পি.আর সঠিকভাবে যাচাই করে চার্জশিট দাখিল করতে হবে। তাছাড়া সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় পেন্ডিং গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো দ্রুত তামিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি-তে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রত্যেক থানার ওসি ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় উপস্থিত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ সভায় উপস্থিত সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ-কে অভিযোগপত্রে সাক্ষীদের মোবাইল নাম্বার সংযুক্তি, আসামীদের পূর্ব ইতিহাস সঠিকভাবে যাচাইকরণ সহ তদন্তের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যূতির দিকে খেয়াল রাখতে প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ-গণ-কে নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় উপস্থিত মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট ব্যতীত কোন আসামির জামিন শুনানিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাগিদ করেন।
তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন যে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সমভাবে লক্ষ্য রাখার জন্য পুলিশকে সর্তক থাকতে হবে।
Related News
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগরে কবরস্থানের জমি উদ্ধার করলেন ইউএনও
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবেরবাজার এলাকায় অবস্থিত বাজারতল কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানেRead More
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পক্ষে খাদিমনগর ইউনিয়ন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুলRead More

