বিমানবন্দর থেকে পঞ্চম বোমা উদ্ধার, ওজন ২৫০ কেজি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে মাটি খোঁড়ার সময় আরও একটি বোমা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিমানবন্দরে মাটির নিচ থেকে পাঁচটি বোমা উদ্ধার হলো। পূর্বে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোর মতো এটিরও ওজন ২৫০ কেজি।
বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবাহিনীর একটি দল বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এখানে আরো বোমা আছে। তবে সেগুলো মাটির গভীরে থাকায় স্ক্যানারে ধরা পড়ছে না।
এর আগে সোমবার সকালে চতুর্থ বোমা উদ্ধার করা হয়। তার আগে ১৯ ডিসেম্বর তৃতীয়, ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও ৯ ডিসেম্বর প্রথম বোমা উদ্ধার হয়েছিল।
গত ১৯ ডিসেম্বর নির্মাণকাজ চলার সময় তৃতীয় বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছিল। ওইসময় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পাইলিংয়ের কাজ করার সময় ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে ২৫০ কেজি ওজনের একটি বোমাসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু’র প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমাটি ধ্বংস করতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে ও ৯ ডিসেম্বর বিকেল টার্মিনালটির নির্মাণকাজে মাটি খোঁড়ার সময় দুটি বোমা উদ্ধার হয়। বিমানবাহিনীর বোমা ডিজপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে নিয়ে যায়। পরে রসুলপুরে বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে সেগুলো ধ্বংস করা হয় ।
১৪ ডিসেম্বর উদ্ধার হওয়া বোমার বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেছিলেন, ‘বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চালানোর সময় উদ্ধার হওয়া ২৫০ কেজি ওজনের বোমাগুলো তাজা ছিল। মাটির অনেক গভীরে থাকায় এটি বিস্ফোরিত হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের কাজের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছে তাদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যেন আবারও বোমা উদ্ধার করা হলে সেই জায়গাটি দ্রুত নিরাপত্তা বলয়ে আনা হয়। তারা যেন আগেভাগেই লোকজনকে সরিয়ে নেয়। এছাড়া খনন কাজ করার সময় শ্রমিকরা যেন সাবধানতা অবলম্বন করে সেজন্য যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ধারণা করে আসছে, উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
Related News

চলমান উন্নয়নের ধারা টেকসই করতে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, দেশে চলমানRead More

মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুতRead More