সিলেটে গৃহবধু তামান্ন হত্যাকান্ড এখনো গ্রেফতার হয়নি মামুন
সিলেট নগরীর কাজিটুলায় গৃহবধু তামান্না বেগম হত্যার ঘটনায় মূল হোতা স্বামী আল মামুনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে তামান্নার স্বামী মামুন ও তার অন্যতম সহযোগী শাহনাজ। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
গত সোমবার নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে গৃহবধু তামান্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। নিহত তামান্নার গলায় দাগ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের চিহ্ন দেখা যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাত ১১টায় এসএমপির কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তামান্নার ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় তামান্নার স্বামী আল মামুনকে। বাকী আসামিরা হলেন- মামুনের বোন জামাই এমরান, পারভীন, মাহবুব সরকার, বিলকিস ও মামুনের অন্যতম সহযোগী শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর রাতেই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি এমরানকে (৩০) নগরীর সোবহানীঘাট থেকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তিনি আল মামুনের বোন জামাই বলে জানা যায়।
এরপর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড ঘাতক স্বামী আল মামুনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতক আল মামুনের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরে। তিনি সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সের পরিচালক। নিহত তামান্না বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের সৈয়দ ফয়জুল হোসেন ফয়লার মেয়ে। বর্তমানে তামান্নার পরিবার গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তার বাবা ইউপি সদস্য সৈয়দ ফয়জুল হোসেন ফয়লা তাদের সঙ্গে থাকেন না বলে জানা গেছে। জানা যায়, তামান্নাকে বিয়ে করার আগে মামুন বরিশালে আরেকটি বিয়ে করেন। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় আগের স্ত্রীর দায়ের করা একটি মামলাও রয়েছে। এসব তথ্য গোপন করে মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের মহিলা কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিনের যোগসাজসে তামান্নাকে বিয়ে করেন মামুন। শাহনাজ নিজেকে মামুনের চাচাতো ভাই বলে পরিচয় দেন। বিয়ের সময় তামান্নার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করেন শাহনাজ। এছাড়াও মামুন ভূয়া আইডি কার্ড দিয়ে তামান্নাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই ভূয়া আইডি কার্ড শাহনাজই তৈরী করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। শাহনাজের মূল বাড়িও বরিশাল। মামুনের ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানায় রয়েছে নগরীর বারুতখানা এলাকার নাম। যেটি ভূয়া বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এছাড়াও তার বাবার নাম রয়েছে আবুল কাশেম সরদার ও মায়ের নাম আম্বিয়া বেগম। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এবিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। বাকীদের ধরতেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More