Main Menu

চিকিৎসকের বাসা থেকে গৃহপরিচারিকা মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

সিলেট নগরীর আখালিয়ায় চিকিৎসকের বাসা থেকে গৃহপরিচারিকা মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরের দিকে আখালিয়া সুরমা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর গলির গাইনি চিকিৎসক জামিলা খাতুন চৌধুরীর বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের দাবি, কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। ডা: জামিলা সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের প্রধান ।
নিহত কিশোরী জান্নাত আক্তার লিনা (১৪) সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বতুমারা গ্রামের আবদুল মালিকের মেয়ে।
লিনার পিতা আবদুল মালিক জানান, জামিলা খাতুনের বাসায় লিনার খালা কাজ করেন। প্রায় ১০ বছর আগে স্ত্রীর অপারেশন করেন ডাক্তার জামিলা। এসময় শিশু লিনাকে দেখে তিনি বলেন তার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নিজের মেয়ের মতো দেখবেন এবং পড়ালেখা করাবেন। এরপর লিনাকে তারা ডাক্তার জামিলার বাসায় দিয়ে দেন। ডাক্তার জামিলা লিনাকে দিয়ে বাসার কাজ করান এবং একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান। সে এবছর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছিলো। আবদুল মালিক জানান, ডাক্তার জামিলা লিনাকে কঠোরভাবে শাসন করতেন মা বাবাকে দেখতে বাসায় আসতে দিতেন না। শুক্রবার লিনার খালার বিয়ে ছিলো। বিয়েতে যাওয়ার জন্য সে অনেক আকুতি করেছে। কিন্তু ডাক্তার জামিলা তাকে খালার বিয়েতে আসতে দেননি। এমনকি ফোন পর্যন্ত করতে দিতেন না।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারা আমাদেরকে ফোন করে জানায়, লিনা আত্মহত্যা করেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পিতার। আবদুল মালিক বলেন, ময়না তদন্ত শেষে তিনি মেয়ের লাশ রাতে বাড়িতে নিয়ে দাফন করবেন। তিনি কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন।
এ বিষয়ে ডাক্তার জামিলা খাতুন বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টার তার মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে তাকে ফোন করে বলেন, লিনা ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে ঘরের আরও কাজের লোক ও ডা. জামিলার মেয়ে মিলে লিনার দেহ নিচে নামান।
বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার জামিলা খাতুন পুলিশকে খবর দেন এবং তিনিও বাসায় চলে আসেন। পরে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
ডাক্তার জামিলা খাতুন জানান, ‘আমি আমার সন্তানের মতোই লিনাকে স্নেহ করতাম। তার খালাও আমার বাসায় কাজ করে। সে বলতে পারবে আমার পরিবারের সবাই লিনাকে কত স্নেহ করতো।’
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুপুর একটার দিকে লাশ উদ্ধার করে। মেয়েটির গলার নিচ দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি আত্মহত্যাই। তবে ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *