সিলেটে রায়হান হত্যা।। লাশ আবার তোলা হবে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পিবিআই
সিলেটে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত আখালিয়া এলাকার রায়হান আহমদের লাশ কবর থেকে তুলে আবারও ময়নাতদন্ত করা হবে। বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআই।
বুধবার বন্দরবাজার পুলিশি ফাঁড়িতে যান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান।
তিনি জানান, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য নিহত রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
রায়হান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই বাতেন পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন এ আদেশ দেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পিবিআইয়ের একটি দল সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ করে। পিবিআই দলের নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশ সুপার (পিবিআই) মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান।
তিনি জানান, পূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাতেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক অনুমতি প্রদান করে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিসাপেক্ষে খুব শীঘ্রই রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।
এসপি মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান বলেন, আজ ফাঁড়িটি প্রাথমকি পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে কিছু আলামত মিলেছে। তদন্তকালে এ ঘটনায় যাদের জড়িত পাওয়া যাবে মামলায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে রায়হান আহমদের মারা যাওয়া ঘটনায় হওয়া মামলা পিবিআইতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। পরে এদিন রাতেই মামলার নথি আনুষ্ঠানিকভাবে পিবিআইতে হন্তান্তর মহানগর পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত রোববার ভোরে আখালিয়া নেহারিপাড়ার রায়হান আহমদ (৩৪) নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকেলে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর বক্তব্য পাল্টাতে থাকে পুলিশ। পরিবার দাবি- সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে প্রাণ হারায় রায়হান।
এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বন্দর ফাঁড়ির সকল পুলিশকে অভিযুক্ত করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় আসামিদের অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। পরদিন রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এসএমপি।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কোতোয়ালি থানার সহকারি কমিশনার নির্মল চক্রবর্তী ও বিমানবন্দর থানার সহকারী কমিশনার প্রবাস কুমার সিংহ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি। পরে সোমবার বিকেলে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ ৪ পুলিশকে সাময়ীক বরখাস্ত ও ৩ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা চার পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস।
প্রত্যাহারকৃত তিন পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- এ.এস.আই আশেক এলাহী, এ.এস.আই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More