মেয়েকে বাসার কাজে দিয়ে খোঁজ পাচ্ছেন না কানাইঘাটের এক মা
সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ এলাকায় বসবাসরত জনৈক ঠিকাদার আজিমের বাসায় কানাইঘাটের হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী মেয়ে লায়লী বেগমকে কাজ করতে দিয়ে ১৫ দিন ধরে মেয়ের কোন সন্ধান পাচ্ছেন না তার মা ও পরিবারের লোকজন।
কানাইঘাট পৌরসভার নয়াখলা গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের স্ত্রী দরিদ্র রশনা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান- আনুমানিক ৮ মাস পূর্বে সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ এলাকায় বসবাসরত ঠিকাদার আজিম তার বাসায় কাজ করার জন্য তার মেয়ে লায়লী বেগম (১৬) কে মাসিক ২ হাজার টাকা বেতনে নিয়ে যান। সবসময় মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে রশনা বেগম যোগাযোগ রাখতেন। আনুমানিক ১৫ দিন আগে থেকে মেয়ে লায়লী বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার পরও তার সাথে তিনি কথা বলতে পারেননি। বাসার মালিক আজিম ফোনে তাকে বলেন- ‘লায়লী তার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছে, সে ভাল আছে, কোন চিন্তা করবেন না।’
কিন্তু মেয়ের সাথে এভাবে কয়েকদিন ফোনে কথা বলতে না পেরে মা রশনা বেগমের সন্দেহের সৃষ্টি হলে গত রোববার ছেলেকে নিয়ে আজিমের শাহপরানস্থ বাসায় মেয়েকে দেখতে যান। অথচ বাসার মালিক আজিম তাদেরকে বাসায় ঢুকতে না দেয়নি বলে জানান রশনা বেগম। পরে রশনা বেগম মেয়েকে দেখার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে লায়লী বেগম কোথায় চলে গেছে বাসার মালিক আজিম জানে না বলে তাদেরকে তাড়িয়ে দেন।
মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে পরদিন রোববার রশনা বেগম শাহপরাণ মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তার অভিযোগ নেয়নি বলে জানান।
কানাইঘাটে বাসায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালানো বিধবা হতদরিদ্র রশনা বেগম তার মেয়েকে ফিরে পেতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More