Main Menu

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন, ছেলেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে মুক্তি চাইলেন মা

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কারাগারে থাকা মো. হেলাল মিয়াকে নির্দোষ দাবি করে জামিনে তার মুক্তি চেয়েছেন হেলাল মিয়ার মা রূপজান বিবি। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠু দতন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি জানান। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদানকালে কান্না জড়িত কন্ঠে এসব দাবি জানান নগরের যতরপুরের বাসিন্দা রূপজান বিবি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ছেলের বউ বালাগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের গৌছ আলীর মেয়ে মোছা. জুলেখা বেগমের করা একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় তার ছেলে হেলাল মিয়া আজ কারাগারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের অফিস এডমিন এসিস্টেন্ট হেলাল মিয়া আপন মামাতো বোন জুলেখা বেগমকে বিয়ে করার পর থেকেই তাকে নিয়ে পরিবার থেকে আলাদা বাসায় বসবাস করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ সময় বিভিন্নভাবে হেলালকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। মানসম্মানের ভয়ে আমরা কারও কাছে এসব প্রকাশ করিনি এবং কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করিনি। এরমধ্যে তাদের তিনটি সন্তানের জন্ম হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়েটি বিভিন্ন জনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যা এখনও অব্যাহত আছে। আমার বড় নাতিনকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া আসার সময়ও বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সে কথা বলত। এসবের সূত্র ধরে করোনাকালিন সময়ে একদিন মেয়েটি বাসা থেকে বেরিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানে গিয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যে মামলা করে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদানের অভিযোগও করেন তিনি। এ সময় ঘরে রাখা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, পরিবারের সদস্যদের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং জরুরি অনেক কাগজপত্র নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতকিছুর পরও আমাদের পরিবারের মর্যাদা-সম্মানহানী না ঘটাতে এবং আমার নাতিনদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমরা কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমায় যাইনি। বিষয়টি আমরা আমাদের আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করি। এ সময়ের মধ্যেই মেয়ে এবং মেয়ের বাবার পক্ষ থেকে প্রথমে ১৫ বিঘা ও পরে ৫ বিঘা জমি মেয়ের নামে লিখে দেওয়ার দাবি জানান। বিষয়টি পারিবারিক আলাপ করে তাদের তিনদিন পরে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু সেসময় অতিবাহিত হওয়ার আগেই তারা মামলা করে বসেন। মামলার ঠিক পরের দিন আমার ছেলেকে কর্মস্থল থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজহারে থাকা বিষয়টিকে মিথ্যে ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, মামলার এজহারে যৌতুকের বিষয় উল্ল্যেখ করা হয়েছে এবং আমার ছেলে ও তার সহযোগীরা ৩ জুলাই শুক্রবার জুলেখার উপর হামলা ও মারামারির অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু এদিন আমার ছেলে সিলেটের বাসায় তাঁর মা ছাড়া অবুঝ তিন শিশুকে নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তাছাড়া দাঁত নড়া এবং রক্ত ক্ষরণের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটিও মিথ্যে। কারণ তার আগেই দাঁতের রোগ থাকার কারণে বিভিন্ন সময় সে ডা. সৈয়দ নুরুল কয়েছ (মারজান) এর তত্বাবধানে চিকিৎসা নেয়।
তিনি বলেন, আমার অবুঝ তিনটি নাতিন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আজ এই অবুঝ শিশুদের দেখাশুনার দায়িত্ব আমার ছেলের অবর্তমানে আমাকেই করতে হচ্ছে। যা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রূপজান বিবি তার নির্দোষ ছেলেকে জামিনে মুক্তি দিয়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *