Main Menu

লালবাজারের ৫ তলা ভবনে ভয়াবহ আগুন, বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা

সিলেট নগরীর লালবাজার এলাকার একটি হোটেলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লালবাজারের লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামের ওই হোটেলে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস দাবি করছে হোটেলটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। হোটেলটির মালিক সাবেক ব্যবসায়ী নেতা মরহুম তুরণ মিয়ার পুত্র মুশতাক আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ ওই হোটেলের উপরের টিনসেড থেকে ধোঁয়া ছড়াতে দেখেন। এরপর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। একেবারে ঘেঁষে থাকা হোটেল আলআমিন ও এলাহি হোটেলসহ আশপাশের ভবনগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটির উপরের তলায় টিনসেড এবং বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়ায় আগুনের ফুলকি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিলো চারদিকে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এসময় সরেজমিনে দেখা যায়, ঘনবসতিপূর্ণ লালবাজারে হোটেল লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের অবস্থান। ৫তলা ভবনের নিচতলায় রয়েছে লাভলী রেস্টুরেন্ট। এরপাশ ঘেঁষে রয়েছে সিঙ্গেল একটি সিঁড়ি। ঐ সিঁড়ি দিয়ে উপরের ৪টি তলায় আবাসিক হোটেল হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো মালিক পক্ষ। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে অথবা নামতে একজন নেমে যাওয়ার পর অন্যজনকে উঠতে বা নামতে হয়। নিম্ন মধ্যম আয়ের লোকজন ঐ হোটেলের নিয়মিত বোর্ডার। গতকাল মঙ্গলবার অগ্নিকান্ডের সময়ও হোটেলের বেশিরভাগ কক্ষে বোর্ডার ছিলেন। উপরের তলায় আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় বোর্ডাররা দ্রুত নিচে নেমে যেতে সক্ষম হন। এছাড়া, ঐ হোটেলের টিনসেড অংশেও অন্তত ৫/৭টি কক্ষ ছিলো। মালিক মুশতাক আহমদ দাবি করেন ঐ কক্ষগুলোতে হোটেল ও রেস্টুরেন্টের স্টাফরা রাত্রি যাপন করতো।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস সিলেটের উপ পরিচালক কোবাদ আলী সরকার জানান, ভবনটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি নির্মাণে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বলেন, উপরের তলায় আগুন লেগেছিলো বলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তবে নিচের কোনো তলায় আগুনের সূত্রপাত হলে প্রাণহানির শঙ্কা ছিলো। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কিসে থেকে হয়েছিলো তা জানা যায়নি। কোবাদ আলী সরকার জানান, লাভলী হোটেল পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবন। সিঙ্গেল সিঁড়ি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে চরম বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।
লাভলী হোটেলের মালিক মুশতাক আহমদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের জানান, ভবনটি তার বাবা ব্যবসায়ী নেতা তুরণ মিয়া নির্মাণ করেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। ঐ ভবনের অনুমতি নেয়া হয়েছিলো কিনা তার জানা নেই। এছাড়া, তিনি মাত্র একবছর হয়েছে হোটেলটি পরিচালনা করছেন।
সূত্রঃ দৈনিক সিলেটের ডাক।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *