Main Menu

ঢাকা টেস্ট : প্রথম দিনটা সমানে সমান

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা বলা যায় সমানে সমান। নিখুঁত হিসেব-নিকেশ করলে একটু এগিয়েই আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৩ রান। বাংলাদেশের সাফল্য টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠানো। এর মধ্যে বড় নাম কাইল মায়ার্স। যাকে জ্বলে উঠতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। দিন শেষে এটাই স্বস্তি টাইগারদের।

দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্বস্তির জায়গা আছে। প্রথমত রান ২০০’র উপরে। ক্রিজে ছান্দসিক ব্যাটিংয়ে অপরাজিত এনক্রুমাহ বনার। যিনি আছেন সেঞ্চুরির পথে। তার সাথে জমাট বাঁধা ব্যাটিংয়ে অপরাজিত জশুয়া ডি সিলভাও।

ঢাকা টেস্টে টস ভাগ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অনুমিতভাবে অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বেছে নেন ব্যাটিং। শুরুটা তাদের বেশ ভালোই। ২০টি ওভার নির্ভারচিত্তে পার করে দেন দুই ওপেনার। চার-ছক্কাও এসেছে বেশ। শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অবশ্য একটি উইকেট।

২০.৪ ওভারে জন ক্যাম্পবেলকে ফেরান বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। হয়ে যান এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েছিলেন ক্যারিবীয়ন ওপেনার। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে বল ভেঙে ফেলেছে মিডল স্টাম্প। ৬৮ বলে ৩৬ রান করে ফেরেন ক্যাম্পবেল। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও একটি ছক্কার মার।

প্রথম সেশনের হতাশা কাটে দ্বিতীয় সেশনে। এই সেশনে প্রথম সাফল্য আসে আবু জায়েদের হাত ধরে। হাসফাস করতে থাকা মোজলি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন বল। দলীয় ৮৭ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ৩৮ বলে সাত রান করে ফেরেন মোজলি।

এরপর ক্রিজে থিতু হয়ে যাওয়া অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটের প্রতিরোধ ভাঙেন পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। স্লিপে ক্যাচ মুঠোয় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অল্পের জন্য ফিফটি পাননি ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ১২২ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন তিনি। চারটি চার ছিল তার ইনিংসে। দলীয় ১০৪ রানে নেই ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট।

এর উইন্ডিজের হয়ে জুটি বাধেন বনার ও মায়ার্স। ভয়ংকর জুটি। এই জুটিই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল। ঢাকা টেস্টে তাই এই জুটির দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। তবে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি আনে পেসার আবু জায়েদ রাহি। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করা কাইল মায়ার্স। আবু জায়েদের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে স্লিপে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৮ বলে মায়ার্সের সংগ্রহ দাড়ায় ৫ রান।

দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট তুলে নেয়ায় অনেকটাই স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে। তবে এরই মধ্যে ক্রিজে থিতু হয়ে ভয় ছড়াতে থাকেন ব্লাকউড ও বনার। তৃতীয় সেশনে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় রান তখন ১৭৮। ৭২তম ওভারের শেষ বলে চমক দেখান তাইজুল। ঠেকাতে গিয়ে হালকা ক্যাচ তুলে দেন ব্লাকউড। ডান দিকে ঝাপিয়ে তা মুঠোবন্দী করেন তাইজুল। ভাঙে ১৪৫ বলে ৬২ রানের জুটি। ৭৭ বলে ৫ চারে ২৮ রান করে ফেরেন ব্লাকউড।

দিনের বাকি সময়টা দলকে বিপদে পড়তে দেননি বনার ও জশুয়া ডি সিলভা। এই জুটি অবিচ্ছিন্ন ১০৯ বলে ৪৫ রানে। ১৭৩ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত আছেন বনার। চার হাকিয়েছেন তিনি ছয়টি। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পেলেন বনার। অন্যদিকে ৪৬ বলে ২২ রানে নট আউট জশুয়া ডি সিলভা।

বল হাতে বাংলাদেশের পেসার স্পিনাররা সমানে সমান। পেসার আবু জায়েদ রাহী নিয়েছেন দুটি উইকেট। স্পিনার তাইজুলের শিকারও দুটি। পার্ট টাইম বোলার সৌম্যর ভাগে একটি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *