Main Menu

নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতেই অভিযোগ : কবিতা খানম

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, কোন ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিতর্কিত করতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে (নির্বাচন কমিশনার) নয়, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করতেই কেউ কেউ বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ এনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে দুই দফা চিঠি দেন দেশের ৪২ জন নাগরিক।

কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখানে যারা দায়িত্বে আছি, প্রত্যেকেই ৩০-৩১ বছর বিভিন্ন দফতরে চাকরি করে এসেছি। আগের কর্মস্থলে যেভাবে স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছি, এখানেও আমরা সেভাবেই স্বচ্ছ আছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই কিন্তু তখন জানতাম না যে, কমিশনার হিসেবে যোগ দেব। যারা জীবনে স্বচ্ছ থেকেছি, তারা মাত্র ৫ বছরের জন্য এখানে দায়িত্ব নিয়ে নিশ্চয় নিজেদের বিতর্কিত করব না।’

পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আইনজীবীদের দেয়া চিঠি প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। প্রশিক্ষণ যখন থেকে চলছে, তখন থেকেই সম্মানী দেয়া হচ্ছে। এটা কমিশন থেকে অনুমোদিত।

প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে অডিট আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, অডিট আপত্তি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই আসতে পারে। এটা দুর্নীতি নয়। যে খাতে টাকা খরচ হয়েছে, তা সঠিকভাবে খরচ করা হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য অডিট হয়ে থাকে।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে কবিতা খানম বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কিছু কিছু সহিংসতা হচ্ছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে। তবে আগের তুলনায় সহিংসতা কম। নির্বাচনের পরিস্থিতি যাতে ব্যাহত না হয়, তার সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। কিছু কিছু বিষয় থাকে ইসির এখতিয়ারের বাইরে, সেগুলো সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে যেখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, সে কেন্দ্রগুলোতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, পুলিশ প্রশাসন ইসির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে। সুনির্দিষ্টভাবে কোন অভিযোগ যদি আসে, তখন ব্যবস্থা নিতে পারব। রিটার্নিং অফিসারের কাছে কোন অভিযোগ আসলে তখন তিনি অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং সেগুলো তিনি তদন্ত করে ইসিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে যে অভিযোগগুলো আসে সেগুলো থানায় মামলার জন্য দেয়া হয়।

সূত্র : বাসস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *