সিলেটসহ দেশের তিন বিমানবন্দর প্রতিবেশিরা ব্যবহার করতে পারবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভাল সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়। আমরা সবসময় মনে করি, এ অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবার আগে অধিকতর সহযোগিতার প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
রবিবার সকালে গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের হাইকমিশনার সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যাও আলোচনায় উঠে আসে।
এ প্রসঙ্গে রীভা গাঙ্গুলী বলেন, এই মরণঘাতী ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করছে। এই মহামারীর বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন তিনি। তিনি কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সব স্তরের এবং শ্রেণী-পেশার জনগণ এই সংকট মোকাবেলায় একযোগে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা অনেক অনুষ্ঠানই উদযাপন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সরকারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের পাশাপাশি তার দল মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
রিভা গাঙ্গুলী দাশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। যেখানে তিনি (নরেন্দ্র মোদী) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
ভারতের হাইকমিশনারও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শুভকামনা জানান।
শেখ হাসিনা তাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রীভা গাঙ্গুলি উভয়কেই ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের জনগণ এবং এর সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অভূতপূর্ব সমর্থন জানিয়েছিল এবং একইভাবে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থলসীমা চুক্তিকেও সমর্থন জানায়।
মঙ্গলবার ভারত এবং বাংলাদেশের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বলেও হাইকমিশনার শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
Related News

৩ জুলাই : কোটাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শিক্ষাঙ্গন, বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীRead More

অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান, প্রধান উপদেষ্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অপতথ্য মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং গণমাধ্যমকে নৈতিক মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানRead More