বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আধুনিকায়ন প্রকল্পের খরচ বাড়লো

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ১৯ হাজার ৮৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা খরচে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের খরচে সংশোধন করে অনুমোদন দেয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন’ প্রকল্প।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে সভায় অংশ নেন।
একনেক সভা শেষে দুপুরে এনইসিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্র আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন’ প্রকল্পে প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিলো ৫৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
সংশোধনীতে ৩১ কোটি ৭ লাখ টাকা খরচ বাড়িয়ে ৮৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। দুই বছর বাড়িয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বেতার কেন্দ্রের আধুনিকায়নের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ৫৬ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। তবে নানা জটিলতায় প্রকল্পটি ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় এ বছরের জুন পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬১ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রিলে করার মধ্য দিয়ে সিলেট কেন্দ্রের সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ১৯৬৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে সিলেট কেন্দ্র থেকে নিজস্ব অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয় সিলেটে। ১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার নতুন ৯৬৩ কিলোহার্জ এএম ট্রান্সমিটার স্থাপন করে সম্প্রচার ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে কেন্দ্রটি।
পরবর্তী সময়ে ১৯৮২ সালে স্টুডিও প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর স্থায়ীভাবে মীরের ময়দানের বেতার ভবন থেকে এই কেন্দ্রের সম্প্রচার ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০০২ সালে ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার ট্রান্সমিটার সংস্থাপন করা হয় এই কেন্দ্রে। ২০০৭ সাল থেকে এক কিলোওয়াট ক্ষমতার ১০৫ দশমিক শূন্য মেগাহার্জ তরঙ্গেও এফএম ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সব কেন্দ্রের এফএম ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হচ্ছে। ২০১৩ সালের জুন মাসে একটি ৫ কিলোওয়াট ক্ষমতার ৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গেও এফএম ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়।
তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বেতার কেন্দ্রকে আধুনিক ও ডিজিটাল করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে আকর্ষণীয় ও উচ্চ কারিগরি মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Related News

সিলেটের সড়কে ঝরলো শিক্ষিকার প্রাণ, গুরুতর আহত বিজিবি সদস্য ভাই
সিলেটের জকিগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেল আরোহী এক স্কুল শিক্ষিকা। এ ঘটনায় গুরুতর আহতRead More

সিলেট নগরের ৬ থানায় অনলাইন জিডি সেবা চালু
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আর ঝামেলায় পড়তে হবে না সিলেট মহানগর এলাকার ছয়টি থানার বাসিন্দাদের।Read More