আবারও পেছালো সিলেটের এমসিতে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবার পিছিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিলো আজ বুধবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি বাদী পক্ষের আইনজীবীরা ধর্ষণ মামলা ও ধর্ষিতার স্বামীর কাছে চাঁদাদাবি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগের অপর মামলাটি একইসাথে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান জানান, একই ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দুই আদালতে বিচারকাজ পরিচালিত হলে বিচারে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। এতে ন্যায়বিচার পাওয়া ব্যাহত হতে পারে। তাই দু’টি মামলাই একই আদালতে বিচার করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। শুনানি শেষে বিচারক তা না-মঞ্জুর করেছেন। তবে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করবো।
এ মামলায় মোট ৫১ জনকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর ওই গৃববধূকে (২৫) পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া আটজনই মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
Related News
চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী
তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা পৃথক চার মামলায়Read More
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরা”ই পণ্যের চালান জব্দ
সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে এযাবৎকালে সবচেয়ে বড় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। সোমবার (৫Read More