Main Menu

এবার মেয়র পদও হারালেন জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে অনেকে করেছেন। সেগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

‘নিয়ম অনুযায়ী কোনো মেয়রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে নেয়া হলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিধান আছে।’

মন্ত্রী জানান, তিন সদস্যের প্যানেল মেয়র গঠন করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরও জানান, তিন দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দায়িত্ব নেবেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে দল থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলমের জায়গায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আতাউল্লাহ মণ্ডলকে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সিটি করপোরেশন গঠনের আগে আতাউল্লাহ একটানা ২৬ বছর গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার আগে তিনি ছিলেন জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ছাত্রজীবনে তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ মনোনীত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে আতাউল্লাহ বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ খ্যাত গাজীপুরের ঐতিহ্য বজায় রাখতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সচেষ্ট থাকব।

‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। দুঃসময়ে গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে।’

গত ২২ সেপ্টেম্বর মেয়র জাহাঙ্গীরের ঘরোয়া আলোচনার রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে তাকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায়। এরপর আওয়ামী লীগের একটি অংশ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামে।

ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে গত ৩ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের ব্যাখ্যা চায় আওয়ামী লীগ। তাকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। ১৮ অক্টোবর সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মেয়র তার ব্যাখ্যা দেন বলে নিউজবাংলাকে জানান।

এরপর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। পরে নির্ধারিত দিনের বৈঠকে জাহাঙ্গীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *