Main Menu

সম্মিলিত প্রয়াসে বিনিয়োগ উন্নয়ন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, সিলেটে বিসিক চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অনেক অংশীজন রয়েছে। সম্মিলিত প্রয়াসে বিনিয়োগ উন্নয়ন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বিসিক তার অংশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিসিক জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় নগরের একটি হোটেলে সিলেট জেলা হালকা প্রকৌশল শিল্পের উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল অথবা নির্গত বর্জ্য নিষ্কাশনে পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে জেলার শিল্প উদ্যোক্তাদের এক প্রশ্নের জবাবে বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেলার মাধ্যমে পণ্যের প্রচার-প্রচারণার বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিসিকের উপর নির্ভর করে না। বিসিকের যাঁরা অংশীজন আছেন তাঁরাও নিজ উদ্যোগে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেন। উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার-প্রসার ও বিপণনের জন্য যে পরিমাণ উদ্যোগ ও আয়োজনের দরকার বিসিক তা সবসময় অব্যাহত রাখে।

বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক ম. সুহেল হাওলাদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ উপস্থিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি) মো. সহিদুজ্জামান, নাসিব সিলেটের সভাপতি আলীমুল এহছান চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাতুল ইসলাম মজুমদার।

উদ্যোক্তা ঝরে পড়ার কারণ নিয়ে বিসিকের গবেষণা সেল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিন্তা-ভাবনা ও ব্যবসার পরিবর্তন, বিদেশ চলে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বিশ থেকে পঁচিশ শতাংশ উদ্যোক্তার ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক। তারপরও বিসিকের উচিত যাঁরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্পৃক্ত হয়েছে তাঁদের ধরে রাখা। এ প্রচেষ্টা পুরোপুরি সফল না হলেও অব্যাহত রয়েছে।

সিলেটে নতুন শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠার চাহিদা থাকলে স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিসিকে অবৈধ প্লট বাতিল ও এ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা এবং যারা প্লট নিয়ে শিল্প স্থাপন করছে না, পাঁচ বছর দশ বছর পরে হাত বদলের মতলবে আছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শিল্প বর্জ্য যদি সর্বত্র পানি ও মাটির সাথে মিশে খাদ্যচক্রে পৌঁছে যায় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম টিকবে না। পৃথিবীতে যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার পুরোটাই ভোগ করার অধিকার কারো নেই। শিল্প স্থাপনের কারণে যাতে বাস্তুসংস্থান ধ্বংস না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য শিল্প বর্জ্যগুলো রিসাইকেল ও পুনঃব্যবহার করতে হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *