সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে সন্ধ্যার পর ফের বাড়তে শুরু করে আগুনের মাত্রা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। ডিপোর ভেতরে রাসায়নিক পণ্যভর্তি কনটেইনার থাকায় ঝুঁকি এখনও কাটেনি। এছাড়া সময়ের সঙ্গে বেড়েই যাচ্ছে মরদেহের সংখ্যা। হাসপাতালজুড়ে বাড়ছে স্বজনদের আহাজারি।
রোববার বিকেলে আগুনের মাত্রা কমে এলেও সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের মাত্রা আবারও বাড়তে শুরু করে।
সেনাবাহিনীর সদস্য মো. রাসেল বলেন, ডিপোর ভেতরে সুতির কাপড়, তুলা, জুট ও রাসায়নিক কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনার আছে। আমাদের উপরের মহলের নির্দেশনায় আমরা নিরাপত্তার খাতিরে ভেতরে এখন কাউকে যেতে দিচ্ছি না। যেহেতু আগুনের মাত্রা আরও বেড়েছে, আমরা কনটেইনারগুলো আলাদা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছিলেন, হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে দাহ্য রাসায়নিক পর্দাথ থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। এছাড়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৬৩ জন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন। ডিপোতে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি।
Related News

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরRead More

কী আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’Read More