আজ থেকে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলেছে
			আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে খুলেছে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান সিলেটের স্পটগুলো দর্শনার্থীদের বরণ করে নিতে রয়েছে প্রস্তুত।
তবে পর্যটনকেন্দ্র দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে খোলার ঘোষণা এলেও সিলেটে এখন পর্যন্ত পর্যটকদের তেমন সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
করোনার সংক্রমণ না কমা ও বিধিনিষেধে মানুষের আয় কমে যাওয়ার কারণে তেমন পর্যটক সমাগম হবে না বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। বুধবার পর্যন্ত পর্যটকদের তেমন সাড়া মেলেনি বলেই তারা জানালেন।
গত বছর মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মাঝখানে কিছুদিন খুলে দেয়া হলেও সংক্রমণ বাড়ায় গত এপ্রিলের শুরুতে আবার পর্যটকদের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
স্বাভাবিক সময়ে সিলেটের ৪ জেলায় সারা বছরই পর্যটক সমাগম লেগে থাকে। পাহাড়, ঝর্ণা, চা বাগান আর হাওরের সৌন্দর্য বরাবরই প্রকৃতিপ্রেমীদের টানে।
পর্যটক বাড়ায় সিলেটে গত একদশকে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট। বিনিয়োগবিমুখ হিসেবে পরিচিত সিলেটের উদ্যোক্তাদের অনেকে এই খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছেন। ফলে পর্যটনকেই ধরা হয় সিলেটের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত। তবে গত দেড় বছরে এই খাতই পড়েছে সবচেয়ে সংকটে।
পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার ঘোষণায় এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন সিলেটের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নুরী জুয়েল।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো একেবারে পথে বসে গেছি। সিলেট বিভাগে প্রতিদিন এই খাতে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় তিন কোটি টাকা। সহজে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে না। তবে বন্ধ করে রাখলে তো কোনো দিনই ক্ষতি পূরণ হবে না। বরং চালু করলেই একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পর্যটকদের তেমন সাড়া পাচ্ছি না। মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া সবাই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ফলে এখন কেউ ঘুরতে বের হতে চাচ্ছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’
Related News
	এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার পাইকরাজ প্রযুক্তি গ্রামে বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ
কৃষকদের মধ্যে মানসম্মত ধানের বীজ সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধানRead More
	“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সিলেটে ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব” – খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির
“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সিলেটে ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে” বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেনRead More

