Main Menu

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে অবরোধ কর্মসূচী

‘ট্যাক্স নয় ক্লাস চাই’ এই স্লোগানে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত ১৫% ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৬ জুন) সকাল ১১টায় সিলেটের চৌহাট্টায় অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় বক্তব্য দেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নেত্রী তানজিনা বেগম, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মনীষা ওয়াহিদ, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা, মেট্রোপলিটনের শিক্ষার্থী তারেক চৌধুরী, সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাজী পলাশ, জুমায়েল বক্স প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে দীর্ঘ ১৫ মাস যাবত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। হাট বাজার, অফিস আদালত, শপিংমল সবকিছুই চালু অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকারের এই সতর্কতার বাণী কার্যত অথর্বতায় পরিণত হয়েছে। গত ১৫ মাসে কোন সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বারবারই ছুটি বাড়িয়েছে। যা ক্রমশই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংস করছে৷ ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ছাত্রদের অসংগঠিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫% ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়েও বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর করের বোঝা চাপানোর চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তা ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ ট্যাক্স প্রস্তাব করা হয়েছে। যা নানা কৌশলে ছাত্রদের কাছ থেকে আদায় করা হবে। সরকার ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে বিভিন্ন সময় ছাত্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বললেও এক্ষেত্রে ছাত্রদের আর্থিক সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করেনি। ফলে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, অনির্দিষ্টকাল ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা কোনভাবেই ছাত্রদের স্বার্থে নয় বরং ছাত্রদের উপর বিভিন্ন অন্যায় অন্যায্য সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার স্বার্থেই করা হচ্ছে। আবার এটি শুধু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা নয়। আজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর যেভাবে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপানো হল, সেরকম নানা অন্যায় সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতেও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর চাপানো হতে পারে। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে ‘ট্যাক্স নয় ক্লাস চাই’ এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।

পরবর্তীতে অবরোধ কর্মসূচি থেকে মিছিল সহকারে কামরান চত্বরে আসেন আন্দোলনকারীরা। দাবি না মানলে ছাত্র আন্দোলন গণ আন্দোলনে রূপ নিবে বলে হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *